লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ১২ দিনে ইসরায়েলের খরচ হয়েছে কত
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইরানের সঙ্গে টানা ১১ দিনের যুদ্ধ চালিয়ে কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি ইসরায়েল। বরং এ যুদ্ধে দেশটি বিপুল সামরিক ক্ষতির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছে। যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করলেও, বিশ্লেষকরা বলছেন— বাস্তবে যুদ্ধের প্রধান দুই লক্ষ্যেই ইসরায়েল ব্যর্থ।
স্বাধীন বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ আলজাজিরাকে বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর আগে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস এবং দেশটির সরকার পতনের লক্ষ্য ঠিক করেছিল। কিন্তু বাস্তবে কোনোটিই অর্জন করতে পারেনি।
ইসরায়েলের পুরোনো কৌশল— শত্রু পক্ষের উচ্চপদস্থ নেতাদের টার্গেট কিলিং করে দুর্বল করা। লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার চেষ্টা কিছুটা সফল হলেও ইরানের ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বরং ইরানিদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য আরও দৃঢ় হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েলের হাইফা ও তেলআবিবে একাধিকবার সাইরেন বেজে ওঠে। বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় দেশটির বাণিজ্য ও পরিবহন খাতে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইরান থেকে ছোড়া শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
প্রাক্তন সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিয়েম আমিনাচ জানান, যুদ্ধের প্রথম দিকেই ইসরায়েল প্রতিদিন প্রায় ৭২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এর মধ্যে ৫৯৩ মিলিয়ন ডলার গেছে আক্রমণাত্মক অভিযানে এবং বাকি অংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ও সেনা রিজার্ভ ব্যবস্থায়।
আনাদোলু ও মিডল ইস্ট মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ‘ডেভিডস্লিং’ সিস্টেম ব্যবহার করতে ইসরায়েলের খরচ হয়েছে ৭ লাখ ডলার, আর ‘অ্যারো থ্রি’ সিস্টেমে প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে লেগেছে ৪ মিলিয়ন ডলার। ইরানের ৪০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে।
ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স ও TRT World-এর তথ্য অনুযায়ী, ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের মোট সামরিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২.৪ বিলিয়ন থেকে ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, যুদ্ধ-পরবর্তী অবকাঠামো পুনর্গঠনে আরও ৪০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হতে পারে।
এপি’র তথ্যমতে, এই স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধে ৯ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজা, লেবানন ও ইরানকে একসাথে মোকাবেলা করতে গিয়ে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও হ্রাস পেয়েছে— ৪.৩ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৩.৬ শতাংশে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে স্কেল কার্যকর হবে জানুয়ারিতে: অর্থ উপদেষ্টা
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- নতুন পে স্কেল: কার্যকর হচ্ছে ২০২৬-এর জানুয়ারি থেকেই
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- পে স্কেল চূড়ান্ত! ২০২৬ এর শুরুতেই কার্যকর
- ১৫ ডিসেম্বরের আল্টিমেটামের মুখে পে-স্কেল নিয়ে নতুন দ্বন্দ্ব
- নবম পে স্কেল ২০২৬-এর শুরুতেই: বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- সরকারি পে স্কেল: অর্থ বরাদ্দ শুরু, জিপিএমএস আসছে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৯ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- আজকের সোনার বাজারদর: ১০ নভেম্বর ২০২৫
- হংকং সিক্সেস ফাইনাল: দুপুরে হংকংয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ, যেভাবে দেখবেন
- পে স্কেল কার্যকর কবে! জানাল কমিশন
- লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ল সোনার দাম
- সরকারি ছুটি ২০২৬: ঈদ ও পূজায় ছুটি কতদিন
