কালো জাদুর প্রভাবে কি ক্যান্সার হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কালো জাদুর মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে একজন মানুষকে দুর্বল করে ফেলা সম্ভব—এমন বিশ্বাস শুধু লোককথা নয়, বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক রুকিয়া বিশেষজ্ঞ এটিকে সত্য বলেই মনে করছেন। এমনকি কেউ কেউ বলছেন, কালো জাদুর প্রভাবে শরীরে ক্যান্সারও হতে পারে।
একাধিক অভিজ্ঞ রাকি জানিয়েছেন, চিকিৎসায় ব্যর্থ এমন অনেক রোগী রুকিয়া (কোরআনের আয়াত দ্বারা চিকিৎসা) গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের মতে, জাদু, জিন বা বদনজরের প্রভাব শরীরের ভিতরে অদৃশ্য রোগের মতো কাজ করতে পারে, যার চিকিৎসা সাধারণ ওষুধে সম্ভব হয় না।
শরয়ি রুকিয়ার মাধ্যমে প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হয়। কোরআনের নির্দিষ্ট কিছু আয়াত—যেমন আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস—পাঠ করার সময় যদি রোগীর মধ্যে মানসিক অস্থিরতা, কান্না, জ্বর বা বমির মত লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে সাধারণত রাকি বুঝতে পারেন রোগীর ওপর কোনো অদৃশ্য প্রভাব রয়েছে।
তবে কেউ কেউ নাম ও মায়ের নাম জেনে ডায়াগনোসিস করার চেষ্টা করেন, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে বিদআত ও সন্দেহজনক পদ্ধতি।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে একটি গাইডলাইন প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে, যেখানে বিস্তারিত প্রতিকার দেওয়া থাকবে। তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহভিত্তিক উপায় এখনই অনুসরণ করা যেতে পারে:
* প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় যিকির করা
* আয়াতুল কুরসি ও তিন কুল পাঠ করা
* بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ... দোয়া পড়া
* প্রতি হিজরি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা রাখা
* ঘরে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত চালু রাখা
* গান, বাজনা ও অলসতা থেকে ঘরকে মুক্ত রাখা
* ঘরে তাবিজ-কবচ থাকলে তা ধ্বংস করে ফেলা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শয়তান সবচেয়ে সহজে প্রবেশ করে এমন ঘরে যেখানে কোরআনের আওয়াজ নেই, বরং গান, গীবত ও অলসতা ভর করে আছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে জাদু করা বা করানো একটি মহাপাপ। এটি শুধু গুনাহই নয়, বরং ইসলামী শরিয়ায় মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। হাদীস অনুযায়ী, জাদু মানুষের মন ও শরীর এমনভাবে দুর্বল করে, যেমন উট অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে জবাই করা হয়।
একাধিক সহীহ হাদীসে জাদুকরদের কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে জাদুর শিকার হয়েছিলেন এবং পরে আল্লাহর নিকট সাহায্য চেয়ে মুক্তি পেয়েছিলেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তাবিজ ব্যবহার করেননি। বরং তিনি কোরআনের আয়াত পড়ে ফুঁ দিতেন, যা-ই হলো রুকিয়া শরিয়াহ। বর্তমানে বাজারে প্রচলিত তাবিজগুলো অনেক সময় শিরক বা জাদুবিদ্যার অংশ হয়ে যায়। বিশেষ করে যেখানে অজানা প্রতীক, নাম বা চিত্র থাকে।
ইসলামি স্কলারদের পরামর্শ, অতীতে কেউ যদি এমন কিছু ব্যবহার করে থাকে তবে এখনই আল্লাহর কাছে খাঁটি তাওবা করে ফিরে আসা উচিত।
একজন ব্যক্তি জানান, তার পরিবারের একজন সদস্য হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। প্রথমে তাকে একজন কবিরাজের কাছে নেওয়া হয়। পরে এক রাকির নির্দেশনায় ঘরে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত ও যিকির শুরু করা হয়। শুরুতে ওই ব্যক্তি কোরআনের শব্দ সহ্য করতে পারতেন না, কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, আত্মরক্ষার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো আল্লাহর কিতাব ও সুন্নাহ।
আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি আত্মিক রোগ ও অদৃশ্য আক্রমণের ক্ষেত্রে ইসলামী রুকিয়া হতে পারে নিরাপদ, সহীহ ও কার্যকর পথ। ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণ করে, সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনযাপনই হতে পারে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আত্মরক্ষা।
আয়শা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- আজ দেশের বাজারে এক ভরি সোনার দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক
- ইরানের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল চীন
- লাফিয়ে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম