ইরানে হামলার প্রতিবাদে পরমাণু শক্তিধর তিন দেশের কঠোর বার্তা

ইরানে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তিন পরমাণু শক্তিধর দেশ—চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান। এক যৌথ খসড়া প্রস্তাবে তারা অবিলম্বে ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে, এই আগ্রাসন বন্ধ না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা—ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহানে সফল হামলা চালিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, "এই বোমা হামলা পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক মোড় দিয়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং গম্ভীর, ধারাবাহিক কূটনৈতিক আলোচনা প্রয়োজন।"
ইরানের অনুরোধে আয়োজিত জরুরি অধিবেশনে দেশটির রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিকে (NPT) রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, "এই চুক্তি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের অধিকার দিলেও এখন এটিকে বেআইনি আগ্রাসনের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।"
পাকিস্তানের অবস্থান
জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার বলেন, "ইতিহাস সাক্ষী, একতরফা সামরিক হস্তক্ষেপ সংঘাতকে আরও জটিল করে তোলে। এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।" তিনি মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে তিনি 'বিপজ্জনক নজির' উল্লেখ করে বলেন, "এটি শুধু অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।"
পাকিস্তান জানায়, তারা চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে একত্রে জাতিসংঘে যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেখানে অবিলম্বে ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতির দাবি তোলা হয়েছে। পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পারমাণবিক ইস্যুতে গ্রহণযোগ্য কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
চীন ও রাশিয়ার বার্তা
চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, "বলপ্রয়োগের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে না। এখনো কূটনৈতিক পথ উন্মুক্ত রয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।"
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় বলেন, "২০০৩ সালে যেমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইরাকে হামলা চালানো হয়েছিল, এখন ফের সেই নাটক শুরু হয়েছে। ইতিহাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই শেখেনি—এদের ‘রূপকথা’ আজ আবার আমাদের বিশ্বাস করতে বলা হচ্ছে, যা কেবল জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে।"
তবে খসড়া প্রস্তাবটি কবে ভোটে উঠবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সোমবার রাতের মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। প্রস্তাবটি পাস করতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের কমপক্ষে ৯টি ভোট এবং পাঁচ স্থায়ী সদস্যের (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন) ভেটো এড়াতে হবে।
যদিও খসড়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবুও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নিন্দা করায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- ইরানের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল চীন
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক