গ্রামের গোপন কারখানায় তৈরি হচ্ছে অনুমোদনহীন শিশুখাদ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ী জেলার খানখানাপুর এলাকায় এক গোপন কারখানায় তৈরি হচ্ছে শিশুদের জন্য নানা ধরনের ক্ষতিকর খাদ্যপণ্য। স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিত “মকবুলের দোকান” নামে। সেখানে শিশুখাদ্য তৈরির নামে তৈরি হচ্ছে রঙিন পানীয়, ক্যান্ডি ও নানা ধরনের চকলেট—যার একটিও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) অনুমোদিত নয়।
এই পণ্যগুলোর বেশিরভাগই তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন কেমিক্যাল, চিনির মিশ্রণ এবং অজ্ঞাত তরল পদার্থ দিয়ে। এসব খাবার বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে আকর্ষণীয় মোড়কে, যাতে দেখলে বোঝার উপায় নেই ভিতরে কী আছে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, কারখানায় কোনো প্রশিক্ষিত কর্মী নেই, নেই কোনো সরকারি তদারকি। একজন বলছিলেন, “এই খাবারগুলো খেয়ে আমাদের শিশুরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে, আপনি তো শুধু নিজের ছেলের জন্য কাঁদছেন—আর এই শিশুগুলোর কথা ভাবেন না?”
তদন্তে আরও জানা যায়, এখানে পণ্যের মোড়কে ভুয়া বিএসটিআই লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। এক শ্রমিক স্বীকার করেন, “এগুলো বানাতে বিএসটিআই অনুমোদন লাগে সেটা আমরা জানি না। মহাজন যেভাবে বলেন, সেভাবেই বানাই।”
এইসব খাদ্য দীর্ঘদিন খেলে শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারসহ নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয়রা বলছেন, ভ্যানচালক, দিনমজুর পরিবারগুলো অজ্ঞতাবশত এসব খাবার কিনে সন্তানদের খাওয়াচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে ভয়াবহ বিপদের কারণ হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়দের দাবি—এইসব অবৈধ কারখানা দ্রুত বন্ধ করা হোক এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- আজ দেশের বাজারে এক ভরি সোনার দাম
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক
- ইরানের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল চীন