বাধ বানাচ্ছে বাংলাদেশ কেন ঘুম হারাম ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুহুরী নদীর তীরে নেমে এসেছে এক নিবিড় নীরবতা। শুধু জলের কলকল আর দূর থেকে ভেসে আসা পাখির ডাক। কিন্তু এই শান্ত দৃশ্যের আড়ালে ধীরে ধীরে জমে উঠছে এক নীরব ঝড়—যার গর্জন এখনো কানে পৌঁছায়নি। বাংলাদেশের বুকে উঠছে এক বাঁধ। শুধু মাটি-কংক্রিটের দেয়াল নয়, এটি যেন একটি আত্মসম্মানের মিনার। প্রতিটি ইট ভারতের কপালে নতুন চিন্তার রেখা এঁকে দিচ্ছে।
গল্পের কেন্দ্রে আছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস—একসময় যিনি দারিদ্র্য দূর করার লড়াইয়ে নাম লিখিয়েছিলেন, আজ তিনিই দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক দাবার ছকে ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শেখ হাসিনার পর একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠছে, যার নেতৃত্বে আছেন এই অর্থনীতিবিদ। নতুন সরকার ‘স্বাধীনতা’র ভাষা নতুনভাবে বলছে।
ত্রিপুরা সীমান্তে এখন অস্থিরতা। বর্ষার জল আসেনি এখনো, কিন্তু ভারতের ঘুম উধাও। কারণ গত বছর যখন ত্রিপুরা কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই মুহুরী নদীর পানি ছেড়ে দিয়েছিল, তখন বাংলাদেশের বহু জেলা বন্যার কবলে পড়ে। লাখো মানুষ ঘরহারা হয়, ফসল নষ্ট হয়, ক্ষয়ক্ষতি হয় শত কোটি টাকার। ভারত তখন নিরুত্তাপ।
কিন্তু এবার বাংলাদেশ দিচ্ছে পাল্টা জবাব—নিজের শর্তে। মুহুরী নদীর বেসিনে যে বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে, সেটাই এখন ভারতের অস্বস্তির কারণ। ত্রিপুরার প্রশাসন বলছে, এতে বন্যা আসবে। কিন্তু সত্যিই কি জল ভয় তাদের, নাকি এ এক রাজনৈতিক প্রতিশোধের আতঙ্ক?
ত্রিপুরা সরকারের নির্দেশে পাঠানো হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল। নেতৃত্বে আছেন পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগের সচিব কিরণ গিত্তে। ভারতীয় মিডিয়া যেন হুহু করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে—বাঁধ নয়, বাংলাদেশ বুঝি সুনামি পাঠাচ্ছে! অথচ বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল জলের ইস্যু নয়, একটি বার্তা—"আমরা আর নত হই না।"
ভারত তো বহু বছর ধরে একের পর এক বাধ বসিয়ে বাংলাদেশের জলরস প্রবাহে ছুরি চালিয়েছে। ফারাক্কা, তিস্তা, মহারাষ্ট্র-বিহারের ছোট বড় অনেক বাধ বাংলাদেশের কৃষিকে নি:শ্বাসরুদ্ধ করেছে। এখন যখন বাংলাদেশ আত্মরক্ষার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, তখন ভারত কেন এমন বিক্ষুব্ধ?
এই বাঁধের নির্মাণ যেন ভারতীয় আধিপত্যবাদের মুখে চপেটাঘাত। আর ড. ইউনুস হয়ে উঠেছেন সেই চরিত্র, যিনি অর্থনীতির শ্রেণিকক্ষে নয়, এখন রাজনীতির ময়দানে মাস্টারস্ট্রোক দিচ্ছেন একের পর এক। মোদির তাসের খেলা যেন ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এখন চলছে নিঃশব্দ লড়াই। মুহুরী নদীর এই বাঁধ কেবল এক জল প্রকল্প নয়, এটি বাংলাদেশের সাহস, তার নতুন কণ্ঠস্বর। বছরের পর বছর নত মস্তকে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা বাংলাদেশ এখন চোখে চোখ রেখে কথা বলছে। আর ভারত—সে যেন আতঙ্কে ভরা প্রতিবেশী।
ত্রিপুরা থেকে পাঠানো প্রতিনিধি দল, মিডিয়ার চিৎকার—সবই যেন অদৃশ্য এক আতঙ্কের প্রতিধ্বনি। সত্যিই কি বাঁধ ত্রিপুরাকে প্লাবিত করবে? নাকি এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন এক জাতীয় শক্তির প্রতীক হয়ে উঠবে?
এই গল্পের শেষ এখনো লেখা হয়নি। বর্ষা আসবে, জল নামবে। কিন্তু এই জল কি সত্যিই বন্যা আনবে, নাকি সে হবে নতুন এক ইতিহাসের নায়ক?
ড. ইউনুস এখন আর শুধু অর্থনীতিবিদ নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির নীরব খেলোয়াড়। যার একেকটা চাল মোদিকে বারবার হার মানাচ্ছে। আর এই খেলায় জল নয়, চালটাই আসল।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- শেখ হাসিনা কি লন্ডন যাচ্ছেন, যা জানা গেল
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জরিপে চমক: দেখে নিন বিএনপির অবস্থান
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- বাড়ছে ক্যানসার, যেসব লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—এটা কি পূর্বনির্ধারিত!
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- এমন বৃষ্টি চলবে কতদিন! জানালো আবহাওয়া অফিস
- প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দুঃসংবাদ