| ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

শেখ হাসিনার পতন হবে ভারত আগেই জানত

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মার্চ ২৩ ১৬:০৫:২৮
শেখ হাসিনার পতন হবে ভারত আগেই জানত

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি সময় ছিল, যখন ভারতকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা হত। তবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে অভ্যুত্থানের পর এই সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায়, এবং শেখ হাসিনার পতনের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সাত মাস পর, ভারত একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, ভারত আগে থেকেই জানতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কী ঘটতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানিয়েছেন ইশতিয়াক হোসেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অন্যতম অধ্যায় হলো ২০২৪ সালের ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান, যা জুলাই মাসে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তীব্র হয়ে ওঠে। অবশেষে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে এবং আন্দোলনকারীরা জয়ী হয়। এরপর থেকেই শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন।

এই অভ্যুত্থানের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তবে দুই দেশই সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগেই ভারত জানতো তার বিরুদ্ধে জনমত কীভাবে তৈরি হচ্ছে।

এমন মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে যে, ভারত যদি শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছিল, তাহলে কেন তারা জুলাই মাসের সংকট থেকে তাকে উদ্ধার করেনি? ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রভাব না থাকার কারণে তারা বিশেষ কিছু করতে পারেনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'দ্য হিন্দু' থেকে আরও জানা গেছে, অন্যান্য বড় আন্তর্জাতিক শক্তির মতো ভারতও বাংলাদেশের ভেতরের অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল। এ বিষয়ে এস জয়শংকর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভয়ালকার তুর্কের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন, যেখানে জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করার কথা বলেছিলেন।

এদিকে, পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা এস জয়শংকরের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আরও আলোচনা করেছেন, যেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া, জয়সংকর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) নিয়েও কথা বলেছেন। ২০১৪ সালের পর থেকে এই সংস্থার কোনো শীর্ষ সম্মেলন হয়নি, কারণ ২০১৬ সালে ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলার পর পাকিস্তানের নির্ধারিত ১৯তম সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এরপর থেকেই ভারত বিমস্টেককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যার কারণে সার্কের কার্যক্রম অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তবে এস জয়শংকর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সার্ক বাতিল হয়নি, বরং বিরতিতে আছে, এবং এটি ভবিষ্যতে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত দেশগুলো সার্কের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে নিজেদের সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে। এখন দেখার বিষয় হলো, আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কিভাবে গড়ে ওঠে।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

অবিশ্বাস্যভাবে শেষ হল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রথম ওয়ানডে

অবিশ্বাস্যভাবে শেষ হল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রথম ওয়ানডে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একসময় সহজ লক্ষ্য তাড়ায় এগিয়ে থাকলেও হঠাৎ ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে ভেঙে ...

তামিমের অবসর নাটকের পর্দা ফাঁস!

তামিমের অবসর নাটকের পর্দা ফাঁস!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত অধ্যায়গুলোর একটি—তামিম ইকবালের হঠাৎ আন্তর্জাতিক অবসর। ...

ফুটবল

যেভাবে মৃত্যু হয় জোটা ও তার ভাইয়ের

যেভাবে মৃত্যু হয় জোটা ও তার ভাইয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র ১২ দিন আগে প্রেমিকা রুতে কার্দোসোকে বিয়ে করেছিলেন দিয়োগো জোটা। জাতীয় দলকে ...

আমেরিকার মাটিতে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইরান!

আমেরিকার মাটিতে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইরান!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত রাজনীতির আঁচ এবার ছড়িয়ে পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ...