ভারতীয় ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর
-1200x800.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় ভিসা সংকটসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য ওমানের রাজধানী মাস্কটে ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতের ভিসা নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তন, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রচারিত তথ্যের সত্যতা এবং শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদানের হার কমিয়ে দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের জন্য গুরুতর সমস্যা। অনেক রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পারছেন না। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি এবং ভিসা সংখ্যা স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়েছি। নিরাপত্তার অজুহাতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত অনেক বাংলাদেশিকে ভোগান্তিতে ফেলেছে।”
এছাড়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশিদের দিল্লি যেতে হয়। কিন্তু দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব না হলে, বিকল্প সমাধানের প্রয়োজন। তৌহিদ হোসেন জানান, কিছু বাংলাদেশি বিকল্প হিসেবে ভিয়েতনাম হয়ে ইউরোপীয় ভিসা নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ইসলামাবাদ থেকে ভিসা সংগ্রহের কথা ভাবছেন, যদিও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট নেই।
বৈঠকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও আলোচনা হয়। তৌহিদ হোসেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এসব অভিযোগকে “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অভিহিত করেন। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে বাস্তব অবস্থা দেখার আমন্ত্রণ জানান। “বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশে বর্তমানে কোনো বড় ধরনের সংঘাত নেই। গত আগস্টে কিছু সহিংসতা ঘটলেও এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে,” বলেন তিনি।
আরেকটি আলোচিত বিষয় ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ। তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আইনগতভাবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। কিন্তু তিনি ভারতে বসে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা তরুণদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণ হয়েছে।”
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক
বৈঠকে বাণিজ্য সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েও আলোচনা হয়। আগস্টের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তৌহিদ হোসেন। তবে, বার্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও বাণিজ্য সম্প্রসারণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
বৈঠকে জয়শঙ্করকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়, তবে সফরের তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি ভারতের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই বৈঠকে ভারতীয় ভিসা সংকট, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রচারিত তথ্য, শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ এবং বাণিজ্য সম্পর্কের নানা দিক গুরুত্ব পেয়েছে। এখন দেখার বিষয়, ভারত এই আলোচনার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং দুই দেশের সম্পর্ক কোন পথে এগিয়ে যায়।
আব্দুল/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ক্যান্সার হওয়ার ১ বছর আগে যেসব পূর্ব লক্ষণ দেখা দেয়
- মোটরসাইকেল মালিকদের জন্য বিআরটিএর কঠোর নির্দেশনা
- কোন গ্রুপের রক্তের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- শেখ হাসিনা কি লন্ডন যাচ্ছেন, যা জানা গেল
- এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে যেদিন
- নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত, নতুন বিতর্ক শুরু
- এবার ইরানের ওপর শক্তিশালী আঘাত করল যুক্তরাষ্ট্র!
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জরিপে চমক: দেখে নিন বিএনপির অবস্থান
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- ভয়াবহ সুনামির শঙ্কা, প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩ লাখ মানুষের
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—এটা কি পূর্বনির্ধারিত!
- শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অবস্থানে নাটকীয় পরিবর্তন
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ওবামার ভবিষ্যত বাণীই কি সত্য হবার পথে, টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ভারত