ব্রেকিং নিউজ ; আরো বড় হচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের আকাশে ঘন কালো মেঘ এবং পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্রের বুকে চলছে এক অদ্ভুত খেলা। একদিকে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে জমি, অন্যদিকে নতুন চর জেগে উঠছে। শুধু ধ্বংস নয়, প্রকৃতি নতুন ভূমি সৃষ্টি করছে, যা বাংলাদেশের আয়তন বাড়াচ্ছে। এক সময় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে জমি হারানো বাংলাদেশ আজ নিজেই ভূমি সৃষ্টি করছে এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলছে।
ভূমি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের মানচিত্র ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হচ্ছে। একদিন হয়তো দেশের আয়তন দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার থেকেও বড় হয়ে উঠবে। নতুন জ্বরভূমিগুলো শুধুমাত্র মাটির টুকরো নয়, বরং দেশের অর্থনীতি, কৃষি এবং জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলে একের পর এক নতুন চর জেগে উঠেছে। গত কয়েক দশকে প্রায় ৫০টিরও বেশি নতুন দ্বীপ বা চর সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে, বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড প্রতিবছর গড়ে ২০ বর্গ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীগুলোতে প্রবাহিত পলির কারণে সমুদ্র এবং নদীর মোহনায় নতুন ভূমি সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও পদ্মা নদী থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে পড়ে, যা ক্রমশ জমা হয়ে নতুন চর সৃষ্টি করছে।
ভূমি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ তার মানচিত্রে বড় জায়গা দখল করবে, যা শ্রীলঙ্কার আয়তনের কাছাকাছি পৌঁছাবে। এই নতুন ভূমির উত্থানের ইতিহাস নতুন নয়। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ সাইক্লোন ভোলার পর বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি জেগে ওঠে। এটি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়, এবং আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে ভারত দ্বীপটি দখল করে। তবে প্রকৃতির খেলায় এটি কিছু সময়ের মধ্যে সমুদ্রের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া, বাংলাদেশ প্রকৃতির কাছ থেকে হারানোর চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছে। তালপট্টি হারালেও, চর কুকরি-মুকরি, কামালচর, গাঙ্গুয়ালি ইত্যাদি নতুন চর সৃষ্টি হয়েছে, যা এখন বাংলাদেশের মানচিত্রকে ক্রমশ বিস্তৃত করছে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা জনসংখ্যার চাপ এবং খাদ্য সংকট। তবে নতুন ভূমির আবির্ভাব এই সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করতে পারে। নতুন সৃষ্ট চরের মাটি উর্বর, যা কৃষি উৎপাদনের জন্য আদর্শ। এভাবে, ভূমির বিস্তৃতি দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে পারে এবং জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করবে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি পরিকল্পিতভাবে নতুন জমিগুলো ব্যবহারের আওতায় আনা যায়, তবে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে এবং রপ্তানির সুযোগও সৃষ্টি করতে পারবে।
এই নতুন ভূমি বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দিচ্ছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা এক সময় বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু নতুন ভূমি সৃষ্টির ফলে এটি এখন সম্ভাবনায় পরিণত হতে পারে। তবে প্রশ্ন একটাই, এই নতুন বিস্তৃত ভূখণ্ড কি বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে? নতুন জমির সঠিক ব্যবহার করা যাবে কি?
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- একশনে নামবে সেনাবাহিনী যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
- নিজের পদত্যাগের সময় জানালেন ড. ইউনূস
- ১৬ বছরের হারানো ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে সেনাবাহিনী
- মোবাইলের ডায়াল প্যাড পরিবর্তন: আগের অবস্থায় ফিরবেন যেভাবে
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেন শেখ হাসিনা
- ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ ভারত বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখুন
- সারাদেশে ভাইরাস জ্বর; দ্রুত সেরে ওঠার ৫ উপায়
- ১২০ টাকায় ব্রাজিলের গরুর মাংস আমদানি
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, ভারত বনাম বাংলাদেশ হাইভোল্টেজ ম্যাচ
- দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণের দাম
- আজকের বাজার দর: চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ সব পণ্যের দাম
- স্বর্ণের দাম: জেনে নিন আজকের বাজার দর
- বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়
- এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের সম্ভব্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড