চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার ‘মাস্টারপ্ল্যান’ নিয়ে বিতর্ক: বাংলাদেশে উত্তাল আলোচনা

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি বিতর্কিত প্রতিবেদনের কারণে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, "চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ জরুরি," যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি এমন একটি সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যখন দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, “চট্টগ্রাম আলাদা রাষ্ট্র হবে? মাউন্টব্যাটেন-নেহেরুর ভুল ঠিক করার সময় এসেছে? ভারতের হস্তক্ষেপ জরুরি?”। এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, এবং এই পরিস্থিতি নাকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ উত্তেজিত কণ্ঠে দাবি করেন, "চট্টগ্রাম কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের নিকটবর্তী। ভারতীয় সমুদ্রপথের অভাব রয়েছে, আর চট্টগ্রাম ভারতের অধীনে এলে উত্তর-পূর্ব ভারতের পণ্য পরিবহন সহজ হবে।" তিনি আরও বলেন, "চট্টগ্রাম ভারতের হাতে গেলে বঙ্গোপসাগরে ভারতের আধিপত্য বৃদ্ধি পাবে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের প্রভাব থেকে দূরে থাকবে।"
এছাড়া, তিনি দাবি করেন, “১৯৪৭ সালে চট্টগ্রাম ছিল হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা, কিন্তু পরবর্তীতে এটি মুসলিমপ্রধান হয়ে ওঠে। যদি হিন্দুরা বিদ্রোহ শুরু করে, তবে তা বাংলাদেশের এবং বিশ্বের জন্য বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।” এই মন্তব্যগুলোকে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক বলে সমালোচনা করেছেন।
এটি প্রথমবার নয়, যখন রিপাবলিক বাংলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিতর্কিত ও অপ্রমাণিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তন পরবর্তী সময়ে তারা একাধিক বিভ্রান্তিকর ও সমালোচিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ, ৬ নভেম্বর তারা দাবি করে, "যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ড. ইউনূস প্যারিসে চলে গেছেন এবং হয়তো তিনি আর দেশে ফিরবেন না," কিন্তু বাস্তবে ড. ইউনূস সেদিন ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে ছিলেন এবং তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এই প্রতিবেদনটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের প্রতিবেদন প্রচারের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে উসকানি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
এছাড়া, রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের এই বিতর্কিত প্রতিবেদনটি ভারতীয় মিডিয়ার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এমন উসকানিমূলক প্রচারণা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ২০৩০ সালে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- লাফিয়ে কমে গেল সোনার দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- ঈদুল আজহা হতে পারে ৬ জুন, সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা চার দিন
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- সেনাপ্রধানের নামে ভুয়া দাবি: ব্যারিস্টার সুমনের মুক্তির আসল সত্য
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার