রিয়াল মাদ্রিদ,বার্সেলোনাকে ছাপিয়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্লাব হলো যেটি

আলমের খান: ফুটবলকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল খেলা মনে করা হয়। নিশ্চিতভাবেই এই ধারণাটি অযৌক্তিক নয়। অনেকেই হয়তো ফর্মুলা ওয়ান কিংবা বক্সিংয়ের প্রসঙ্গ আনতে পারে। তবে ফুটবলের মতো বিস্তর পরিমাণের মার্কেট ভ্যালু কোনো খেলারই নেই। বাস্কেটবলের মাইকেল জর্ডান এবং গলফের টাইগার উড বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দুই ক্রীড়াবিদ। বিস্তর পরিমাণের অর্থ এবং নানান স্পন্সরশিপ এবং এনডোর্সমেন্টের মাধ্যমে তারা আয় অবশ্যই করেছে।
তবে গলফ এবং বাস্কেটবলের বাজার মূল্য কোনোভাবেই ফুটবলের সাথে তুলনাগম্য নয়। তাই নির্দ্বিধায় এই ব্যাপারে একমত পোষন করাই যায় যে বিশ্বের সবচেয়ে অর্থ প্রদানকারী খেলা এই ফুটবলই। ফুটবলের বিস্তর বাজার মূল্যের মূল পটভূমিতে রয়েছে ক্লাবগুলো। মূলত ক্লাব ফুটবলের উপর ভর করেই খেলাটির আজকের এই অবস্থা। জাতীয় দলের খেলা কম হয় তাই ফুটবল বিশ্বকাপও পায় বাড়তি মনোযোগ। বর্তমানের ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে দামি ক্লাবের স্থান দখল করে রেখেছেন আর্সেনাল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ক্লাবের বর্তমান বাজার মূল্য ১.২১ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী টাকায় যা ১২১০০ কোটির মতো। নিয়মিতভাবে তারকা বহুল দল গঠন করায় অনেকেই হয়তো রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনাকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্লাব মনে করে আসছেন। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের আর্সেনালই বেশ লম্বা সময় ধরে উপনীত আছেন এই আসনে।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্লাব হওয়ার পরও সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল উপহার দিতে ব্যর্থ হয়ে আসছে তারা। বরাবরের মতোই এটি প্রমাণ করে যে ব্যয়বহুল ক্লাব তৈরি করাও সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় না। ব্যয়বহুল ক্লাবের তালিকার দ্বিতীয় স্থান দখল করে রেখেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের আরেকটি ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যানচেস্টার সিটির বাজার মূল্য আর্সেনালের চেয়ে মাত্র কয়েকশো কোটি টাকা কম। ১.১৮ বিলিয়ন ডলারের বাজার মূল্য নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ক্লাবটি।
এই ক্লাবের পারফরম্যান্সও বিশ্বের সেরা ৫ ক্লাবের মধ্যে নয়। তবে আর্সেনালের তুলনায় দল গঠনে অধিকাংশ সময় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে এসেছে ক্লাবটি। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন বা পিএসজি। নেইমার,মেসি এবং এমবাপ্পেকে দলে ভিড়িয়ে শীর্ষ তিন ব্যয়বহুল ক্লাবের তালিকায় নাম লেখায় ফরাসি ক্লাবটি। অচিরেই টাকার বস্তা নিয়ে খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে বসতে হয় ক্লাবটির। সময়ের পালা বদলে নেইমার এবং এমবাপ্পেকে হারাতে যাচ্ছে তারা। বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসিকে তো ইতিমধ্যে হারিয়েও ফেলেছে।
অর্থাৎ কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করাও খুব একটা লাভবান প্রমাণ হয়নি ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির জন্য। ক্লাবটির বর্তমান বাজার মূল্য ১.২ বিলিয়ন। তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ যে শীর্ষ পাঁচে থাকবে এটি অনেকটা অনুমিতই ছিল। স্প্যানিশ ক্লাবটি শীর্ষে নেই এটিই হয়তো আশ্চর্যজনক ব্যাপার। তবে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে লা লিগানরা। তাদের ক্লাবের বাজার মূল্য ৯৮৫ মিলিয়ন ডলার।
অবশ্য পারফরমেন্সের দিক দিয়ে লালিগানদের সাথে তুলনা করার মতো আর কেউই যেন নেই। যথেষ্ট পরিমাণের বাজেট এবং বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনারই ফসল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ক্লাবটি যথার্থ উদাহরণ যে বাজেট এবং পরিকল্পনা দুটিরই সংমিশ্রণ প্রয়োজন একটি সফল দল গঠনে। তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান ক্লাবটির বাজার মূল্য ৯৫৪.০৫ মিলিয়ন ডলার। জার্মানি জাতীয় দলের অবস্থা একেবারেই নাজেহাল।
২০১৪ বিশ্বকাপের পর যেন ছন্দপতন হয়ে যায় দলটির। দীর্ঘ ৯ বছরেও সেই ছন্দটি আর ফিরে পায়নি ইউরোপিয়ান পরাশক্তিটি। তবে নিজেদের ক্লাব ফুটবলকে এখনো শীর্ষ পর্যায়ে রেখেছে তারা। বুন্দেসলিগার বেশ কিছু ক্লাব সারা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্লাবগুলোর মধ্যে অবস্থান করছে। যাদের মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ অন্যতম।তাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্লাবদের তালিকায় যে একটি জার্মান ক্লাব থাকবে ব্যাপারটি ছিল নিশ্চিত।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- ২০৩০ সালে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে
- লাফিয়ে কমে গেল সোনার দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- ঈদুল আজহা হতে পারে ৬ জুন, সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা চার দিন
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে