টাইগার স্পিনারদের নিষ্ক্রিয়তায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ম্যানেজমেন্ট

আলমের খান: ছয় মাস আগেও মনে করা হচ্ছিল বর্তমান বাংলাদেশ দলটি অপ্রতিরোধ্য। সবগুলো বিভাগেই নৈপুণ্যের ছড়াছড়ি। দুর্দান্ত ব্যাটিং অর্ডারের পাশাপাশি কার্যকরী বোলিং লাইনাপ রয়েছে টাইগারদের। আক্রমণাত্মক ওপেনারদের পাশাপাশি রয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
দুর্ধর্ষ পেস বোলারদের সাথে রয়েছে ভরসা করার মতো স্পিনাররা। তবে বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে টাইগার ক্রিকেটের কঙ্কালসার ততটাই বেরিয়ে আসছে। বিশ্বকাপের মাস তিনেক আগে এখন মনে হচ্ছে টাইগার শিবিরে সমস্যার ছড়াছড়ি। দলে ঐক্যের অভাব, অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফর্ম হীনতা, অভিজ্ঞ ফিনিশারের অনুপস্থিতি এবং স্পিন আক্রমণে বৈচিত্র্যহীনতা।
এই সবগুলো সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে কম তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যা যেটিকে মনে হচ্ছে সেটিই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। স্পিন আক্রমণে বৈচিত্রহীনতা। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ যে সাম্প্রতিক সময়ে খারাপ করছে এমনটি বলা হচ্ছে না। তবে লক্ষণীয় যে আদর্শ ব্যাটিং কন্ডিশনে যেখানে বোলারদের জন্য খুব বেশি কিছু থাকে না, সেখানে ইমপেক্টফুল পারফরম্যান্স দিতে পারছে না স্পিনাররা।
বাংলাদেশ মূলত তিন পেসার এবং দুই স্পিনার কম্বিনেশনে বর্তমানে খেলে থাকে। অর্থাৎ এখানে পরিষ্কার যে স্পিনারদের চেয়ে পেসারদের উপরই আমাদের ভরসা বেশি। তবুও খেলা যেহেতু ভারতের মাটিতে স্পিনাররাও পালন করবে মুখ্য ভূমিকা। খুব সম্ভবত একটি দলের জয় এবং পরাজয় অনেকটুকুই নির্ভর করবে স্পিনারদের উপরই। একটি বিখ্যাত প্রবাদই তো রয়েছে, ব্যাটসম্যানরা আপনাকে ম্যাচ জিতাবে, বোলাররা জেতাবে টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের গড়পরতা স্পিন অ্যাটাক ব্যাটিং কন্ডিশনে হয়ে ওঠে আরো বেশি গড়পরতা।
স্পিনারদের মধ্যে কারোই লাইন লেন্থে কোনো সমস্যা নেই কিংবা টেম্পারমেন্টেও খুব একটা ঘাটতি নেই। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা স্পিন আক্রমণে বৈচিত্র্যতার অভাব। অর্থাৎ কোন লেগ স্পিনার, চায়না ম্যান কিংবা মিস্ট্রি স্পিনার নেই বাংলার শিবিরে। বিশ্বকাপের রাডারে রয়েছেন এমন চারজন স্পিনার হলেন: সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম এবং নাসুম আহমেদ।
এদের মধ্যে হয়তো তিনজন সুযোগ পাবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের জায়গা নিশ্চিত। অবশিষ্ট নাসুম এবং তাইজুল ইসলামের মধ্যে হয়তো লড়াই হবে শেষ স্পটটির জন্য। তবে অধিনায়কের পছন্দ যেহেতু তাইজুল তাই তার সম্ভাবনাটুকুই থাকবে বেশি।
এক্ষেত্রে নাসুমের বাজে ফর্মও তাইজুলকে সমর্থন করছে। অর্থাৎ বাংলার স্পিন অ্যাটাকে বাঁহাতি স্পিনার এবং অফ স্পিনার ছাড়া আর কিছু নেই। ভারতে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে যখন প্রতিপক্ষ রানের ফোয়ারা ফোটাবে তখন শুধু আদর্শ লাইন লেন্থে ভরসা করে গেলে চলবে না। দেখাতে হবে খানিকটা বৈচিত্র খানিকটা নতুনত্ব। তবে বাংলাদেশের স্পিন অ্যাটাকে যা একেবারেই নেই। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতেই যা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তুলনামূলক দুর্বল আফগান ব্যাটিংয়ের বিপক্ষেই যদি এই অবস্থায় পড়তে হয় বাংলার স্পিনারদের তাহলে বোঝাই যাচ্ছে সবল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কি হবে। তবে বিশ্বকাপ যেহেতু আর মাস তিনেক দুরে তাই খুব বেশি কিছু করারও নেই নির্বাচকদের। দায়িত্ব নিতে হবে ক্রিকেটারদেরই, মিরাজ, সাকিব কিংবা তাইজুলদের (যদি সুযোগ পান) নিজেদের বৈচিত্র্যতা নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি সম্ভব হয় বিশ্বকাপের আগে নিজের অস্ত্রাগারে যোগ করতে হবে নতুন কোনো ভেরিয়েশন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা: নতুন পে-স্কেল আসছে পরে
- স্ট্রোকের ২ মাস আগে শরীরে দেখা দেয় ৬টি লক্ষণ
- কোয়েটায় বিএনপির সমাবেশে বিস্ফোরণ, ১৪ জন নিহত
- সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে-স্কেলের ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- আগামীকাল মাঠে নামবে ব্রাজিল বনাম চিলি: মোবাইলে সরাসরি দেখুন
- সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে-স্কেল ঘোষণা পেছাচ্ছে
- মৃতদেহ ফ্রিজে থাকলে কি কবরের হিসাব শুরু হয়
- দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
- ব্রাজিল বনাম চিলি: কখন ও কীভাবে দেখবেন
- আগামীকাল আর্জেন্টিনা বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচ, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের নির্দেশনা
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ: বাংলাদেশ বনাম ভিয়েতনাম ম্যাচ
- স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে সন্তানের কি সমস্যা হয়
- ৫ দিন পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায়