মুস্তাফিজকে ছাড়াই টানা ২য় হারের স্বাদ পেল দিল্লি
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত ক্যাপ্টেন রিশোভ পান্ত দলকে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে নেমেছিলেন। তারপরও কিছু হল না। চলতি আইপিএলে টানা পরাজয়ের মুখে পড়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের কাছে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে দিল্লি। টানা ২য় জয় পেল পান্ডিয়ার গুজরাট
দিল্লি তাদের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারার পর বাউন্স ব্যাক করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্লেয়িং ইলেভেনে দুটি পরিবর্তন করেছে। তবে ব্যক্তিগত বিমানে ওঠা টাইগার ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম ম্যাচের মতো একাদশে সুযোগ পাননি।
টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাট। শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। ওয়ার্নারকে কষ্ট দিচ্ছিল শামির গতি। শামির প্রথম বলটি ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে এসে উইকেট স্পর্শ করে। কিন্তু বেল পরে নি। ফলে বেঁচে যান ওয়ার্নার।
ব্যক্তিগত ৭ রানে আরেক ওপেনার পৃথ্বী শকে শামি আউট করলেও অধিনায়ক ফেরেননি। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর মিচেল মার্শকে (৪) ফেরত পাঠিয়ে দিল্লির বিপদ বাড়িয়ে দেন ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার।
টানা ২ উইকেট হারানোর পর ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সরফরাজ খান। ওয়ার্নার ভালো খেলছিলেন। কিন্তু আলজারি জোসেফ বল করতে এসে এক ওভারেই পাল্টে দেন খেলার চিত্র। ৩৭ রানে ওয়ার্নারকে আউট করেন তিনি। পরের বলেই জোসেফের বাউন্সার ভুল করে আউট হন রিলি রুশো। গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরে আসেন প্রোটিয়া এ ব্যাটসম্যান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। শেষ পর্যন্ত হুমকি বাড়ালেন রশিদ খান। বিপদজনক হওয়ার আগেই অভিষেক ও সরফরাজ খানকে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দেন আফগান লেগ কিংবদন্তি।
অক্ষর প্যাটেল শেষ পর্যন্ত কিছু বড় শট খেলে দিল্লিকে ১৬০ রানে নিয়ে যান। ৩৬ রান করে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে।
এদিকে রান তাড়া করতে নেমে গুজরাটের ইনিংস ভালো শুরু করেন ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম ওভারে ১৪ রান নেন তিনি। কিন্তু এনরিকে নরখিয়ার গতি না বুঝতে পারেন নি। আগের ম্যাচের নায়ক শুভমান গিল এই ম্যাচে কোনো রান পাননি। তিনিও ১৪ রান করে আউট হন। অধিনায়ক হার্দিক ৫ রানে আউট হলে চাপে পড়ে গুজরাট।
সাই সুদর্শন এবং বিজয় শঙ্কর সেখান থেকে দলকে টেনে আনেন। দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যানই ধীরে ধীরে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিলেন। তারা ৫০ রান করে। যখন মনে হচ্ছিল এই দুই ব্যাটসম্যান গুজরাটের বিরুদ্ধে জিতবেন, তখন মার্শের বলে ২৯ রান করে আউট হন শঙ্কর।
তবে তাতে জিততে খুব একটা অসুবিধা হয়নি গুজরাটের। সুদর্শনের সাথে ডেভিড মিলার দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। মিলার মুকেশ কুমারের এক ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে জয় তুলে নেন। রান তাড়া করতে গিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন সুদর্শন। শেষ পর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেন হার্দিক। সুদর্শন ৬২ ও মিলার ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল নিয়ে সর্বশেষ সুখবর যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ ঘোষণা: যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে উত্তেজনা: সবশেষ পরিস্থিতি কি?
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- ওসমান হাদির সবশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ : সিসিটিভি ফুটেজে যা মিললো
- হাদির ওপর হামলা কারছে কে, জানালেন আইজিপি
- জানা গেল হাদির ওপর হামলাকারীকে নিয়ে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: যা জানা গেলো
- আসছে ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ, কাঁপবে যেসব জেলা
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ৩৬ বাংলাদেশি পেলেন ভারতের নাগরিকত্ব: তালিকায় আছেন যারা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজকের সকল টাকার রেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরতে হবে তারেক রহমানকে
