প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো কিছুই খুজে পাচ্ছেন না মোসাদ্দেক

পরাজয়ের ম্যাচেও ছোট ছোট নানা জয়ের গল্প খোঁজা বাংলাদেশের ক্রিকেটে দেখা যায় নিয়মিতই। চূড়ান্ত ব্যর্থতার ম্যাচেও অনেক সময় খুড়ে আনা হয় ইতিবাচক কিছু। কিন্তু আফগানিস্তানের কাছে প্রস্তুতি ম্যাচে এতটাই অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ, অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বলতে বাধ্য হলেন যে এখান থেকে প্রাপ্তির কিছুই নেই।
দুর্দাশার শুরু বোলিং ইনিংসের শেষ ভাগ থেকে। ব্রিজবেনের অ্যালান বোর্ডার ক্রিকেট মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তানের রান ১৮ ওভারে ছিল ৫ উইকেটে ১২৭। শেষ দুই ওভারে মোহাম্মদ নবির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রান আসে ৩৩।
তার পরও লক্ষ্য খুব বড় ছিল না। উইকেটও ছিল না ব্যাটিংয়ের জন্য দুরূহ। কিন্তু শুরু থেকেই পথচ্যুত বাংলাদেশ ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। পরেও নাটকীয় কিছু হয়নি। ধুঁকতে ধুঁকতে পুরো ২০ ওভার খেলে তারা রান করতে পারে স্রেফ ৯৮।
এমনিতে এই হার বিস্ময়কর কিছু নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ যত ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে তার দ্বিগুন। সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচে আরেকটি হার অবাক করার মতো কিছু নয়। কিন্তু হারের ধরন এতটাই বাজে যে, ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মোসাদ্দেকও তেমন কোনো জবাব পেলেন না।
“বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায়। সবশেষ সিরিজে আমরা জিততে পারিনি। এখানে এসে প্র্যাকটিস ম্যাচও জিততে পারিনি। হারতে থাকলে অনেক কিছুই বের হয়ে আসে যে অনেক সমস্যা, এভাবে চিন্তা করলে অনেক কিছুই আসে। তবে যদি আমরা পজিটিভ চিন্তা করি, তাহলে বলব এই ম্যাচে পজিটিভ কিছুই ছিল না। তবে আগের সিরিজটাতে পজিটিভ অনেক কিছু ছিল। দল হিসেবে আমি মনে করি যে আমরা উন্নতি করছি।”
সাম্প্রতিক সময়ে ‘ইন্টেন্ট’, ‘ইম্প্যাক্ট’, এসব নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের কণ্ঠে এসবের কথা শোনা গেছে বারবার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সব ছিল উধাও। এখানে দায়টা নিজেদের কাঁধেই নিলেন মোসাদ্দেক।
“ইম্প্যাক্ট, এক্সিকিউশন, এসব খারাপ কিছু নয়। ক্রিকেটে খুবই ভালো কথা এগুলো, যদি আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি। যেহেতু আমরা তা পারছি না, হয়তো এজন্যই দল হিসেবে ভালো করছি না। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলে কাজ খুবই কঠিন, সেটা ১২০ রান তাড়া করলে হোক বা ১৬০। এগুলো আমরা এক্সিকিউট করতে পারলে দল হিসেবে ভালো করব।”
“১৬০ রানের মধ্যে আমরা একটা দলকে রাখতে পারছি, এটা আমাদের তাড়া করা উচিত। আগেও বললাম যে দল হিসেবে ভালো করতে পারছি না। এই সময়ে আমাদের টিমমেট যারা আছি, সাপোর্ট স্টাফ সবার একসঙ্গে থাকাটা এবং ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবারই একসঙ্গে থাকাটা জরুরি। যেহেতু আমাদের সময়টা খারাপ যাচ্ছে। একসঙ্গে থাকলে যখন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে শুরু করব, তখন অবশ্যই ভালো করব।”
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সমস্যার অভাব নেই। তবে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা নিঃসন্দেহে টপ অর্ডারে। জয়ের ভিত যেখান থেকে গড়তে হয়, এই দল সবচেয়ে নড়বড়ে সেখানেই। তাই জয়ের সৌধ গড়া হয়ে ওঠে না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে লিটন দাসকে খেলানো হয়নি। ওপেনিংয়ে নেমে ভালো করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনে নেমে ব্যর্থ সৌম্য সরকারও।
মোসাদ্দেক বললেন, তারাও তাকিয়ে আছেন টপ অর্ডারদের দিকে। শিগগিরই দলের অপেক্ষা শেষ হবে বলে বিশ্বাস তার।
“আমি মনে করি, আমাদের দলে যে ক্রিকেটাররা আছে, সবাই নিজেদের ভূমিকা নিয়ে পরিষ্কার। এখন কারা খেলবে বা খেলবে না, এটা সিদ্ধান্ত নেবেন অধিনায়ক বা টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আমি মনে করি, আমাদের টপ অর্ডার থেকে কেউ যদি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে দলের চেহারা বদলে যাবে।”
“আমাদের টি-টায়েন্টিতে কখনোই ওরকম কেউ ছিল না যে ১৩৫ স্ট্রাইক রেট। আমাদের ইতিহাসেই এমন কেউ নেই। ওই জায়গায় আমাদের উন্নতি করা অবশ্যই প্রয়োজন এবং আমাদের কোচিং স্টাফ সবাই অনেক সহায়তা করছেন আমাদের। আমার মনে হয়, এখন ডেলিভার করার পালা। হয়তো খুব শিগগিরই টপ অর্ডাররা সেটা করবেন, আমি বিশ্বাস করি। ইনশাল্লাহ বিশ্বকাপে আমরা ভালো করব।”
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- জান্নাতি ব্যাক্তির ৩ টা রোগ লেগেই থাকে
- রেলগাড়ি থেকে ঝুলিয়ে ফেলে দেওয়া: ভাইরাল ভিডিওর নেপথ্যে কী ঘটেছিল
- ভোক্তা অধিকারের আব্দুল জব্বার মন্ডলের উপর হামলা, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনা ও রূপার দাম
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি চাকরিজীবীদের
- নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা আসছে, নিশ্চিত করলেন অর্থ উপদেষ্টা
- বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে বন্যা, ডুবে যেতে পারে ৪ জেলা
- পরীমণির মৃত্যুর গুজব: সত্যিটা কী!
- নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা: কোন গ্রেডে কত বাড়ছে!
- যদি এই ৪টি আলামত থাকে, বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে খুব ভালোবাসেন
- গ্রামের গোপন কারখানায় তৈরি হচ্ছে অনুমোদনহীন শিশুখাদ্য
- ৯০ হাজার প্রাণ, ১৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি: পাকিস্তানের দাবি
- মমতাজের বাড়ি থেকে ৯০০ কোটি উদ্ধারের ভিডিও আসলে কী
- কক্সবাজারে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে যা জানা গেছে
- আছিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষণা: হিটু শেখের ফাঁসি