| ঢাকা, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

এমন ক্রিকেট খেলাটাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য

ক্রিকেট ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২২ আগস্ট ০৮ ১৭:০১:৩০
এমন ক্রিকেট খেলাটাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য

উড়তে থাকা বাংলাদেশের হারের পেছনে অনেকেই অনেক ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছে। তবে নিঃসন্দেহে একটি ব্যাপারে সবাই একমত, যে বর্তমান সময়ের সাথে মানানসই ক্রিকেট খেলছেন না টাইগাররা। টাইগাররা এক ধরনের নিরাপদ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছেন। যেটি বর্তমান সময়ের সাথে একদমই মানানসই নয়। প্রথম ওয়ানডেতে একদম ব্যাটিং স্বর্গেও ৩০৩ রান এর বেশি করতে পারেননি টাইগাররা।

কিংবা করার চেষ্টাই করেননি ব্যাটসম্যানরা। ৫০ ওভার শেষে হাতে আরো আট উইকেট ছিল বাংলাদেশের। চেষ্টা করলে সেখান থেকে অনায়াসেই ৩৩০ রান করতে পারতেন ব্যাটসম্যানরা। তবে স্লগ ওভারেও বেশ ধীরেসুস্থে ব্যাট করেছেন দুই সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যেন ৩০০ পেরোলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা নিশ্চিত।

এক্ষেত্রে পরিকল্পনায়ও মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি অধিনায়ক এবং ম্যানেজমেন্ট। শেষ পাঁচ ওভারে কোন যুক্তিতে আফিফকে না নামিয়ে রিয়াদকে নামানো হয়েছে? এর উত্তরটি অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া বোধহয় আর কারো কাছেই নেই। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যে আর সে আগের রিয়াদ নেই তা তো সবারই জানা, এছাড়া বেশ লম্বা সময় ধরে ফর্মহীনতায় ভুগছেন রিয়াদ।

ওই পরিস্থিতিতে নিঃসন্দেহে ক্রীজে নামার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত খেলোয়াড় ছিলেন আফিফ। প্রথম ওয়ানডের মতোই দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও নিরাপদ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছেন ক্রিকেটাররা। ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হলে আরো বেশি ধীরগতির ক্রিকেট খেলা শুরু করেন ব্যাটসম্যানরা। উইকেটে আফিফ এবং মাহমুদুল্লাহর ভালো একটি পার্টনারশিপ হলেও রানের গতি ছিল কম।

শেষ পর্যন্ত ৮৪ বলে ৮০ রান করে অপরাজিতো থাকেন রিয়াদ। তবে এই ইনিংসের পরও রিয়াদকে নিয়ে সমালোচনা ঠিকই হচ্ছে। সমালোচনা হওয়ার মূল কারণ এই ধরনের ব্যাটিং স্বর্গে ২৯০ রান কখনোই যথেষ্ট নয়। তাহলে রিয়াদ কেনো আরো একটু আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করলেন না। ৮৪ বল খেলে এই উইকেটে আরো বেশি রান অনায়াশেই করা যায়।

যা জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা টাইগারদের করে দেখিয়েছে। টাইগারদের মধ্যে এক ধরনের নিরাপদ ক্রিকেট খেলার প্রবণতা বেশ ভালোভাবেই রয়েছে। যা ভবিষ্যতে বেশ ভোগাবে টিম বাংলাদেশকে। পাওয়ার প্লেতে কিছুটা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা, মিডেল ওভারে দেখেশুনে ধীরে সুস্থে খেলা, পরবর্তীতে শেষের ওভার গুলোতে আবারো হাত খোলার চেষ্টা করা।

এই ধরনের ক্রিকেট ২০০৫-৬ সালের দিকে খেলা হতো। যা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। দ্রুতই পরিবর্তন করতে হবে খেলার ধরন তা না হলে নিজেদের প্রিয় সংস্করণে ও হারতে হবে অধিকাংশ ম্যাচেই।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

মুস্তাফিজকে ধরে রাখতে চায় দিল্লি; যা জানা গেল

মুস্তাফিজকে ধরে রাখতে চায় দিল্লি; যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইপিএলের আসন্ন মিনি নিলামকে সামনে রেখে দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ...

এবার জাহানারার বিরুদ্ধে জ্যোতির পাল্টা মন্তব্য

এবার জাহানারার বিরুদ্ধে জ্যোতির পাল্টা মন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার জাহানারা আলমের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারের পর সৃষ্ট বিতর্ক ...

ফুটবল

চলছে ব্রাজিল বনাম প্যারাগুয়ে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ, সরাসরি দেখুন এখানে

চলছে ব্রাজিল বনাম প্যারাগুয়ে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ, সরাসরি দেখুন এখানে

কাতারকে কেন্দ্র করে আয়োজিত FIFA U-17 বিশ্বকাপ ২০২৫™ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি হিসেবে লাতিন আমেরিকার দুই শক্তিশালী ...

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকো ম্যাচ

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকো ম্যাচ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুটবলের ভবিষ্যৎ তারকাদের আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কাতারে আজ রাতে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ ...