| ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

এমন ক্রিকেট খেলাটাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য

ক্রিকেট ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২২ আগস্ট ০৮ ১৭:০১:৩০
এমন ক্রিকেট খেলাটাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য

উড়তে থাকা বাংলাদেশের হারের পেছনে অনেকেই অনেক ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছে। তবে নিঃসন্দেহে একটি ব্যাপারে সবাই একমত, যে বর্তমান সময়ের সাথে মানানসই ক্রিকেট খেলছেন না টাইগাররা। টাইগাররা এক ধরনের নিরাপদ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছেন। যেটি বর্তমান সময়ের সাথে একদমই মানানসই নয়। প্রথম ওয়ানডেতে একদম ব্যাটিং স্বর্গেও ৩০৩ রান এর বেশি করতে পারেননি টাইগাররা।

কিংবা করার চেষ্টাই করেননি ব্যাটসম্যানরা। ৫০ ওভার শেষে হাতে আরো আট উইকেট ছিল বাংলাদেশের। চেষ্টা করলে সেখান থেকে অনায়াসেই ৩৩০ রান করতে পারতেন ব্যাটসম্যানরা। তবে স্লগ ওভারেও বেশ ধীরেসুস্থে ব্যাট করেছেন দুই সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যেন ৩০০ পেরোলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা নিশ্চিত।

এক্ষেত্রে পরিকল্পনায়ও মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি অধিনায়ক এবং ম্যানেজমেন্ট। শেষ পাঁচ ওভারে কোন যুক্তিতে আফিফকে না নামিয়ে রিয়াদকে নামানো হয়েছে? এর উত্তরটি অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া বোধহয় আর কারো কাছেই নেই। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যে আর সে আগের রিয়াদ নেই তা তো সবারই জানা, এছাড়া বেশ লম্বা সময় ধরে ফর্মহীনতায় ভুগছেন রিয়াদ।

ওই পরিস্থিতিতে নিঃসন্দেহে ক্রীজে নামার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত খেলোয়াড় ছিলেন আফিফ। প্রথম ওয়ানডের মতোই দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও নিরাপদ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছেন ক্রিকেটাররা। ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হলে আরো বেশি ধীরগতির ক্রিকেট খেলা শুরু করেন ব্যাটসম্যানরা। উইকেটে আফিফ এবং মাহমুদুল্লাহর ভালো একটি পার্টনারশিপ হলেও রানের গতি ছিল কম।

শেষ পর্যন্ত ৮৪ বলে ৮০ রান করে অপরাজিতো থাকেন রিয়াদ। তবে এই ইনিংসের পরও রিয়াদকে নিয়ে সমালোচনা ঠিকই হচ্ছে। সমালোচনা হওয়ার মূল কারণ এই ধরনের ব্যাটিং স্বর্গে ২৯০ রান কখনোই যথেষ্ট নয়। তাহলে রিয়াদ কেনো আরো একটু আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করলেন না। ৮৪ বল খেলে এই উইকেটে আরো বেশি রান অনায়াশেই করা যায়।

যা জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা টাইগারদের করে দেখিয়েছে। টাইগারদের মধ্যে এক ধরনের নিরাপদ ক্রিকেট খেলার প্রবণতা বেশ ভালোভাবেই রয়েছে। যা ভবিষ্যতে বেশ ভোগাবে টিম বাংলাদেশকে। পাওয়ার প্লেতে কিছুটা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা, মিডেল ওভারে দেখেশুনে ধীরে সুস্থে খেলা, পরবর্তীতে শেষের ওভার গুলোতে আবারো হাত খোলার চেষ্টা করা।

এই ধরনের ক্রিকেট ২০০৫-৬ সালের দিকে খেলা হতো। যা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। দ্রুতই পরিবর্তন করতে হবে খেলার ধরন তা না হলে নিজেদের প্রিয় সংস্করণে ও হারতে হবে অধিকাংশ ম্যাচেই।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

হাত না মেলানোয় যে শাস্তি পাচ্ছে ভারত পাকিস্তান

হাত না মেলানোয় যে শাস্তি পাচ্ছে ভারত পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক উত্তেজনার আবহে এশিয়া কাপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আচরণ আলোচনার ...

ভারত বনাম পাকিস্তান: কোন দল জিতবে জানাল জ্যোতিষী টিয়া

ভারত বনাম পাকিস্তান: কোন দল জিতবে জানাল জ্যোতিষী টিয়া

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচ মানেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। এশিয়া কাপ ২০২৫-এ এই দুই ...

ফুটবল

জুভেন্টাস-ডর্টমুন্ড: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ লাইভ দেখুন মোবাইলে

জুভেন্টাস-ডর্টমুন্ড: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ লাইভ দেখুন মোবাইলে

মঙ্গলবার বহু প্রতীক্ষিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে জুভেন্টাস তাদের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে আতিথ্য ...

৪০ বছর বয়সী মদ্রিচের ‘প্রথম’ গোলে এসি মিলানের জয়

৪০ বছর বয়সী মদ্রিচের ‘প্রথম’ গোলে এসি মিলানের জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বয়স ৪০ হলেও, লুকা মদ্রিচের পায়ের জাদু এখনো শেষ হয়নি। এসি মিলানের জার্সিতে ...