বেরিয়ে এলো লিটনকে বাদ দিয়ে মোসাদ্দেকে নেতৃত্বে দেওয়ার আসল রহস্য

আশ্চর্যের বিষয় যে ক্রিকেট হঠাৎ করে এগিয়ে নিয়ে যায় যখন কোনো ফরম্যাট বিবেচনা করা হয়নি! কিন্তু প্রেক্ষাপট সেরকম ছিল না এবং শেষ ম্যাচে লিটন দাসকে অধিনায়ক চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু লিটন অধিনায়কত্ব মানতে অস্বীকৃতি জানালে মোসাদ্দেঘকে বেছে নিতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।
হাসান মাহমুদের ইনজুরিতে পুরো সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এরপর টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয় শেষ খেলার অধিনায়ককে। দলের প্রথম পছন্দ ছিলেন লিটন। কারণ গত নিউজিল্যান্ড সফরে মাহমুদউল্লাহর ইনজুরির সময় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল লিটনের। তাই শেষ ম্যাচে টেস্ট সহ-অধিনায়ককে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
জানা যায়, যখন লিটনকে ফাইনাল খেলার জন্য অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন। টিম ম্যানেজমেন্টের একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম এবং নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শেষ ম্যাচে লিটনকে অফার করা হলে লিটন বলেছিলেন যে যেহেতু তাকে আগে অফার করা হয়নি, সেহেতু তিনি মাঝমাঠে নেতৃত্ব দেবেন না। লিটনের সিদ্ধান্তে দলের শৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ!
যদিও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতেই নাকি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতে চাননি লিটন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়ক লিটনেরই হওয়ার কথা ছিল। ওকে প্রস্তাবও করা হয়েছিল। প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ও রাজী হয়নি। সে ফর্মে আছে। এই অবস্থায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতে চায়নি।’
এদিকে বিশ্রামের দোহাই দিয়ে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। কিন্তু সোহানের ইনজুরিতে হুট করেই বিশ্রাম ভেঙ্গে ফেরানো হলো সাবেক অধিনায়ক বনে যাওয়া এই অলরাউন্ডারকে। ঠিক কী কারণে মাহমুদউল্লাহ দলে সেটির উত্তর পাওয়া যায়নি নির্বাচকদের কাছ থেকে। দুই নির্বাচককেই ফোন করা হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোর্ড প্রধান নাজমুল হোসেন পাপনের কথাতেই মাহমুদউল্লাহকে দলে নেওয়া হয়েছে! যদিও এ ব্যাপারে কারও কাছ থেকেই মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জালাল ইউনুস জানিছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়াতেই মাহমুদউল্লাহকে শেষ ম্যাচে নেওয়া হয়েছে।
অধিনায়ক পরিবর্তনসহ হুট করে মাহমুদউল্লাহকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যেই গলদ দেখা গেছে। দল নির্বাচনের কোনও প্রসেসে না গিয়ে বার বার অপেশাদার আচরণ করে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অথচ যোগাযোগ ঘাটতি যেন না হয় এই কারনে খালেদ মাহমুদ সুজনকে টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দলের হ-য-ব-র-ল অবস্থা দেখে বোঝা কঠিন, ঠিক কতখানি সফলতার সাথে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বটা পালন করতে পারছেন সফল সাবেক এই অধিনায়ক।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- জান্নাতি ব্যাক্তির ৩ টা রোগ লেগেই থাকে
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- দেশের বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মহার্ঘ ঘোষণা
- আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া, দাবি দ্রুত নির্বাচনের
- ভারতের হামলায় কতজন সেনা হারিয়েছে পাকিস্তান
- তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আঘাত আনবে বাংলাদেশের যে এলাকায়
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- এএসপি পলাশকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন তার বোন ও দুলাভাই
- কোরবানীর ঈদ কবে, জানা গেল বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ও তারিখ