২৯ বছর পর নয়া মোড়, শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে প্রাণ’ নাশ হয় সালমান শাহর

বিনোদন প্রতিবেদক: ঢালিউডের ক্ষণজন্মা নক্ষত্র সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় ও স্টাইল দিয়ে তিনি এখনও দর্শক হৃদয়ে কিংবদন্তী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে মাত্র ২৫ বছর বয়সে রহস্যজনকভাবে না ফেরার দেশে চলে যান এই জনপ্রিয় নায়ক।
দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে একাধিক তদন্ত কমিটি তার মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করলেও, সম্প্রতি এই অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে। এর পরই নতুন করে আলোচনায় এসেছে ১৯৯৭ সালের একটি চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি, যেখানে সালমান শাহকে হত্যার দাবি করা হয়।
১২ লাখ টাকার 'খুনের চুক্তি' ও রেজভীর জবানবন্দি
সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভি আহমেদ ফরহাদ দীর্ঘ ২৮ বছর আগে ১৯৯৭ সালে আদালতে ১৬৪ ধারায় এই লোমহর্ষক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে রেজভী আহমেদ ফরহাদ সালমান শাহকে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন:
"আমরা সালমান শাহকে হত্যা করেছি। এই হত্যার ঘটনাকে পরে আত্মহত্যা বলে সাজানো হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডে সামিরা (সালমান শাহের স্ত্রী) ও তার পরিবারের অনেকে জড়িত ছিলেন, এবং আমিও সেই হত্যাযজ্ঞে ছিলাম।"
রেজভীর জবানবন্দি অনুযায়ী, সালমান শাহের মৃত্যু ছিল ১২ লাখ টাকার এক 'খুনের চুক্তি', যা করেছিলেন সালমান শাহের শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। এই চুক্তিবদ্ধ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বাংলা সিনেমার খলনায়ক ডন, ডেভিড, ফারুক ও জাভেদসহ আরও কয়েকজন।
হত্যার রাতের লোমহর্ষক বর্ণনা:
রেজভীর বর্ণনামতে, ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাতে গুলিস্তানের একটি বারে ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ ও রেজভীসহ আরও কয়েকজন মিলিত হন। সেখানে ফারুক জানান, সামিরার মা লতিফা হক লুসি সালমানকে 'শেষ করার' জন্য মোট ১২ লাখ টাকা দেবেন। কাজের আগে ৬ লাখ এবং পরে বাকি ৬ লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়। এরপর তারা প্লাস্টিকের দড়ি, সিরিঞ্জ, রিভলবারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গুছিয়ে নেন।
রেজভী দাবি করেন, সেই রাতে অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ডন, ডেভিড, ফারুক ও আজিজ ভাই সালমান শাহের বাড়িতে যান। রেজভীর বর্ণনায়, সেই রাতে ঘুমন্ত সালমান শাহের ওপর হত্যাকারীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেসময় সামিরা, সামিরার মা লুসি এবং আত্মীয়া রুবিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সামিরা ঘুমন্ত সালমানকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে প্রথমে বেহুঁশ করেন। জ্ঞান ফিরলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে সালমান শাহের শরীরে ইনজেকশন পুশ করা হয়। সালমানকে হত্যার পর তার লাশ সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
হত্যা মামলার ১১ আসামি:
দীর্ঘ ২৯ বছর পর অপমৃত্যু মামলা হত্যা মামলায় পরিণত হওয়ার পর, এই মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান আসামি হলেন নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক।
অন্য ১০ আসামি হলেন: প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, নায়কের সাবেক শাশুড়ি লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভি আহমেদ ফরহাদ।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে ২০ গ্রেডের জন্য নতুন বেতন স্কেল প্রকাশ
- নতুন পে স্কেল কার্যকর যে মাসে
- পে স্কেলের প্রতিবেদন দাখিল নিয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাল বেতন কমিশন
- ১০ বছরে স্বর্ণের দামে সবচেয়ে বড় ধস
- রেকর্ড পতনের পর আবারও কমল স্বর্ণের দাম
- বাড়ল বাড়িভাড়া: চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা নিয়ে যা জানাল মন্ত্রণালয়
- দ্বিগুণ উৎসব ভাতা, ৮০% বাড়ি ভাড়া ও ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব
- হঠাৎ কেন ১০ বছরের সর্বনিম্ন ধস নামল স্বর্ণের দামে
- নতুন পে স্কেলে কোন গ্রেডে কত টাকা বাড়ল বেতন
- রেকর্ড গড়ার পরই বড় ধস! সোনার দামে হঠাৎ বড় পতন
- আবারও সোনার দামে বিশাল বড় পতন
- স্বর্ণের দামের ১২ বছরে সবচেয়ে বড় পতন
- নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব: সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার
- বাংলাদেশের বাজারে আজ যে দামে বিক্রি হবে সোনা
- সর্বোচ্চ বেতন দেড় লাখ, সর্বনিম্ন ১৬ হাজার: বাড়ছে ৯০ থেকে ৯৭%