
সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
পাহাড়ে ২৫০ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী: ভারত থেকে আসছে অত্যাধুনিক অস্ত্র

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বর্তমানে নতুন করে অস্থিরতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গোয়েন্দা ও সরকারি সূত্রে অভিযোগ উঠেছে যে, দেশের অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে কিছু অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচার ও অপতত্ত্বের মাধ্যমে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। এসব সংগঠন পার্বত্য অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ভারতের সহায়তায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
জানা গেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ, হামলা ও হত্যাকাণ্ডের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। এমনকি স্থানীয় শান্তি বিনষ্ট করতে 'ধর্ষণ নাটক' সাজানোরও চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি ও সহিংসতা
গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে, গত এক বছরে পার্বত্য অঞ্চলের সশস্ত্র গ্রুপগুলো আনুমানিক ৩৫০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে। এর মধ্যে ইউপিডিএফ একাই ১০৪ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে, যা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। দেশের একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইউপিডিএফ-এর হাতে ৩০০ জন অপহৃত হয়েছেন এবং ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য এবং সেনাবাহিনীর ১৬ জন সদস্যও রয়েছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের মতো গুরুতর ঘটনাও ঘটেছে।
ভারতের মিজোরাম থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ
এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বিদেশি সহায়তা। প্রাপ্ত প্রমাণাদি অনুযায়ী, তারা ভারতের মিজোরাম রাজ্যে অবস্থিত সশস্ত্র ক্যাম্প থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ নিচ্ছে।
নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির সুপারিশ
এই পরিস্থিতিতে, সেনা কর্মকর্তারা বলছেন যে পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫০টি নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা অত্যাবশ্যক। বর্তমানে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে মোট ২১০টি ক্যাম্প থাকলেও বিস্তীর্ণ ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের জন্য তা যথেষ্ট নয়।
সেনাবাহিনীর মতে, নতুন ক্যাম্প স্থাপিত হলে:
১. দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো সহজ হবে।
২. অবৈধ অস্ত্রের প্রবাহ কার্যকরভাবে ঠেকানো যাবে।
৩. সন্ত্রাস দমন অভিযান জোরদার করা যাবে।
বিশ্লেষকদের অভিমত
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি অপেক্ষাকৃত নমনীয় নীতির কারণে তাদের শক্তি ও প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ।
এছাড়াও, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা এবং প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস জরুরি বলেও মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন কত হওয়া উচিত: যা জানা গেল
- আজকের টাকার রেট: ডলার, রিয়াল ও রিংগিতের বিনিময় হার
- দুবাই ও আবুধাবিতে ভিসা আবেদনের নতুন শর্ত
- ফের বাড়লো সোনার দাম: ভরি প্রায় ২ লাখ টাকা!
- বিয়ের সাজে মামা দরজায় অনশনে ভাগ্নী
- ঢাকায় ধরা পড়া হারুনকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠালো কারা
- মঙ্গলবার বিদ্যুৎ থাকবে না দেশের যেসব এলাকায়
- ১ অক্টোবর থেকে টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন না যারা
- বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে আজ বিক্রি হচ্ছে সোনা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- মুখ অতিরিক্ত ঘামে কেন, এর সমাধান কী
- চাঁদকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার গোপন তথ্য ফাঁস! কোন দেশ জড়িত
- ভারতকে ক্রিকেট থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি: যা জানা গেল
- আজকের টাকার রেট: ডলার, রিয়াল, রিংগিতের দাম
- কিভাবে বুঝবেন ২১ দিনের মধ্যে আপনার স্ট্রোক হবে