
আয়শা সিদ্দিকা
সিনিয়র রিপোর্টার
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সহজ ম্যাচ হারের ৫ কারন

দুবাই: এশিয়া কাপের সুপার ফোরে দুর্বল বোলিং আক্রমণের বিপক্ষেও ভারত ১৭০ রান পার করতে পারেনি। পরের ১০ ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের অসাধারণ প্রত্যাবর্তনে সুযোগ তৈরি হলেও, ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং বিতর্কিত টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে সহজ জয় হেলায় হারাল টাইগাররা।
যে দল ১০ ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছিল, তারাই ২০ ওভারে ১৭০ রানও করতে পারল না। অভিষেক শর্মার ব্যক্তিগত ৭৫ রান বাদ দিলে ভারতের ইনিংস কার্যত ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের বিপক্ষে সহজ এই ম্যাচ হারের পেছনে ৫টি বড় কারণ এবং সিদ্ধান্তের দায়ভার রয়েছে:
১. বিতর্কিত অধিনায়ক নির্বাচন: জাকের আলী অনিক
দল যখন অভিজ্ঞতার অভাবে ভুগছে (লিটন দাস নেই), ঠিক তখন নুরুল হাসান সোহানের মতো টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেওয়া ক্রিকেটারকে বসিয়ে জাকের আলী অনিককে অধিনায়ক করা হয়। জাকের অনিকের স্থানীয় ক্রিকেটেও অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা নগণ্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিতর্কিত অধিনায়কত্বই দলের ব্যর্থতার মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২. ক্যাচ মিস এবং কিপিং ব্যর্থতা
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল কিপিংয়ে ব্যর্থতা। তানজিম সাকিব যখন তৃতীয় ওভারে অভিষেক শর্মাকে আউট করার সুযোগ তৈরি করলেন, ঠিক তখন কিপার জাকের আলী অনিক (১০ রানে ভারতের স্কোর, ব্যক্তিগত ৭ রানে অভিষেক) ক্যাচটি নিতে পারেননি। সেই অভিষেক শর্মা শেষ পর্যন্ত ৭৫ রান করে দলের ভিত্তি গড়ে দেন। নুরুল হাসান সোহানের মতো সেরা কিপিং বিকল্পকে বসিয়ে রাখার কারণে এই সহজ সুযোগ হাতছাড়া হয়।
৩. পাওয়ার প্লেতে ভুল বোলিং পরিবর্তন
অভিষেক শর্মা বাঁহাতি বিধ্বংসী ব্যাটার হওয়া সত্ত্বেও অধিনায়ক জাকের তাকে সামলাতে পাওয়ার প্লেতে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে আনেন। সেই দুই ওভারে নাসুম দিয়ে দেন ২৮ রান। একই ভুল করেন সাইফউদ্দিনের ক্ষেত্রেও, যাকে অভিষেক শর্মার সামনে এনে বারবার মার খাওয়ানো হয়। পরে অভিষেক আউট হওয়ার পর নাসুম তাঁর বাকি দুই ওভারে মাত্র ৬ রান দেন— যা ক্যাপ্টেন্সির ভুল সিদ্ধান্তের প্রমাণ।
৪. ব্যাটিংয়ে সঙ্গত দিতে না পারা
সাইফ হাসানের একক লড়াই (ছক্কা মেরে ফিফটি) ছাড়া বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আর কোনো উল্লেখযোগ্য ইনিংস ছিল না। সাইফ যতক্ষণ ছিলেন, মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ জিততে পারে। কিন্তু তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, জাকের অনিক (৪ রান) এবং তাওহীদ হৃদয়— কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। ব্যাটিংয়ের এই পতনেই পরাজয় নিশ্চিত হয়।
৫. সোহান ও শেখ মেহেদীকে বসিয়ে রাখা
যখন দলের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ফ্লপ, তখন লিটন দাসের অনুপস্থিতিতেও নুরুল হাসান সোহানকে একাদশে রাখা হয়নি। সোহান কেবল একজন কার্যকর ব্যাটার নন, তিনি জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করার এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সফলতা আনার অভিজ্ঞতা রাখেন। কিপার ও ব্যাটার হিসেবে তাঁর অনুপস্থিতি দলকে ডুবিয়েছে। একইভাবে, শেখ মেহেদীর মতো গুরুত্বপূর্ণ বোলারকেও বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ফাইনালের টিকিট পেতে টাইগারদের যা করতে হবে
এই ম্যাচ হারের মাধ্যমে টিম ম্যানেজমেন্টের পরীক্ষা-নিরীক্ষার (এক্সপেরিমেন্ট) মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে। যদিও পাকিস্তান সিরিজে জয়ের লক্ষ্য ছিল, কিন্তু ভারতের মতো দলের বিপক্ষে এমন সুযোগ হাতছাড়া করা ক্রিকেট মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
আয়শা সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ: জ্যোতিষী টিয়া পাখির ভবিষ্যদ্বাণী
- সরকারি চাকরিতে মহার্ঘ ভাতা: গ্রেড অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, কারা কত পাচ্ছেন
- সরকারি কর্মচারীদের ছুটিতে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৫ দিন
- আজ পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ফাইনাল
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সারারাত ব্যাপক বৃষ্টি হবে যেসব জেলায়
- আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপকারী ব্যাক্তি পরিচয় জানা গেলো
- ব্যালন ডি’অর ২০২৫: এক নজরে সব পুরস্কার বিজয়ী
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম
- ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- বাবার সম্পত্তি নিজ নামে নামজারি না করলে যেসব বিপদে পড়বেন
- এমপিও শিক্ষকদের বাড়িভাড়া: শতাংশ হারে বাড়ানোর প্রস্তাব
- ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সেরা একাদশ
- জমে উঠেছে বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ; সরাসরি দেখুন
- পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম
- ভারতের বিপক্ষে টস জিতলো বাংলাদেশ: দেখেনিন একাদশ