 
                    সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
'মাফিয়াদের ভাড়া করেছেন হাসিনা'—সাংবাদিকের চাঞ্চল্যকর দাবি
 
								একটি গোয়েন্দা নথিকে উদ্ধৃত করে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ষড়যন্ত্রে মাল্টার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মুসকাট এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিকের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব জড়িত থাকতে পারেন। একুশে টেলিভিশনের একটি ডেস্ক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো:
* আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করা।
* তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
* বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে "ইসলামী মৌলবাদী" হিসেবে তুলে ধরে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করা।
* চূড়ান্তভাবে, একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় বসানো।
অভিযুক্ত লবিস্ট এবং আর্থিক লেনদেন
প্রতিবেদনে দুই বিদেশি ব্যক্তিকে এই ষড়যন্ত্রের প্রধান কুশীলব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমজন হলেন মাল্টার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মুসকাট, যিনি তার দেশে ঘুষ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত। দ্বিতীয়জন হলেন দামির ফাজরিজ, যিনি বলকান অঞ্চলের একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী। তার ওয়াশিংটন পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নেটওয়ার্ক আছে বলে দাবি করা হয়।
গোয়েন্দা নথির তথ্যানুযায়ী, এই কাজের জন্য তাদের সাথে এক বছরের জন্য প্রায় ২২ কোটি টাকার (২ মিলিয়ন ডলার) চুক্তি করা হয়েছে। যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব হয়, তবে অতিরিক্ত ২২০ কোটি টাকার (২২ মিলিয়ন ডলার) "সাকসেস ফি" দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন অফশোর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৬ লাখ ডলার অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এস আলম গ্রুপের নাম
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগানদাতা হিসেবে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান এম সাইফুল আলমের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে ডিজিএফআই-এর সহায়তায় তিনি দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন, যা এখন তাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় ফেরানোর ষড়যন্ত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।
একুশে টেলিভিশনের মন্তব্য
প্রতিবেদনটি শেষে একুশে টেলিভিশন জানিয়েছে যে তারা এই অভিযোগগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। এই ধরণের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বাংলাদেশের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলেও প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- জাহান্নামমুখী ব্যাক্তির দুই রোগ লেগেই থাকে
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- যে চাকরি পাচ্ছেন বিয়ারিং পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর
- সোনার রেকর্ড পতন, এক সপ্তাহে ভরিতে কমলো ২৪ হাজার টাকা
- ঈদ বোনাস দ্বিগুণ, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকার বড় প্রস্তাব

 গুগল নিউজ ফলো করুন
        গুগল নিউজ ফলো করুন
     
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
                     
                     
                    