
আশা ইসলাম
রিপোর্টার
‘কবুল’ না বলেও যেসব শব্দে হয় মুসলিম বিয়ে

বিয়ে ইসলামে একটি পবিত্র বন্ধন যা নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। এর মাধ্যমে মানুষ গুনাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি বিয়ে করল সে তার অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ করল।"
ফিকহে হানাফি অনুযায়ী, বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য 'ইজাব' (প্রস্তাব) এবং 'কবুল' (গ্রহণ) এই দুটি বিষয় আবশ্যক। তবে 'কবুল' শব্দটি ছাড়াও কিছু নির্দিষ্ট শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমেও বিয়ে সম্পন্ন হতে পারে।
বিয়ে সম্পাদনের মৌলিক শর্ত:
১. ইজাব: যেকোনো এক পক্ষের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রস্তাব।
২. কবুল: অন্য পক্ষের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাবে সম্মতিসূচক জবাব।
৩. স্পষ্ট বাক্য: এমন শব্দ ব্যবহার করা, যা দিয়ে স্পষ্টভাবে বিয়ে সম্পন্ন করা বোঝায়।
৪. সাক্ষী: দুজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুজন নারীর উপস্থিতি।
‘কবুল’ না বললেও বিয়ে শুদ্ধ হয় যেসব শব্দে:
* ক্ববিলতু (আমি গ্রহণ করলাম): যখন বর বা কনে প্রস্তাবের জবাবে এই শব্দটি ব্যবহার করে, তখন এটি কবুল হিসেবে গণ্য হবে।
* রদ্বিতু (আমি সন্তুষ্ট/রাজি হলাম): এই শব্দটি সরাসরি 'কবুল' না হলেও, প্রস্তাবের পর ব্যবহার হলে তা গ্রহণযোগ্য বলে ধরা হয়।
* তাজায়াজ্জাত্তুহা (আমি তাকে বিবাহ করলাম): যদি বর নিজেই এই বাক্যটি ব্যবহার করে, তাহলে এটি বিয়ের সুস্পষ্ট স্বীকৃতি।
* আনকাহতু নাফসি ইয়্যাহু (আমি নিজেকে তার সাথে বিবাহ করলাম): এই বাক্যটির মাধ্যমেও কবুলের অর্থ প্রকাশ পায়।
* আজাযতুহু (আমি একে অনুমোদন করলাম): যদি কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং মূল ব্যক্তি সেটি অনুমোদন করে, তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হবে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে:
কোরআনে বলা হয়েছে, "ভদ্রভাবে স্ত্রীর সঙ্গে জীবন যাপন করো, কিংবা সম্মানের সঙ্গে তাকে বিদায় দাও।" (সূরা বাকারা, ২:২২৯)। এখানে "إِمْسَاكٌ" শব্দটি দাম্পত্য জীবনে সম্মতি ও স্বীকৃতির বিষয়টি প্রকাশ করে।
এছাড়া, সুনান ইবনু মাজাহর একটি হাদিসে বলা হয়েছে, "নিকাহ পরস্পরের সম্মতির ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়।" এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, সরাসরি 'কবুল' শব্দ ছাড়াও যদি উভয়ের সম্মতির প্রকাশ থাকে এবং প্রেক্ষাপট পরিষ্কার হয়, তবে বিয়ে হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- মৃত্যুর পর মানুষ কিভাবে বুঝতে পারে সে মারা গেছে
আরও পড়ুন- যেসব পাপের কারণে মানুষের চেহারা বিকৃত করে শাস্তি দেবেন আল্লাহ
ফিকহে হানাফির মতে, 'কবুল' শব্দ ছাড়াও অন্য শব্দ বা বাক্য দিয়ে যদি স্পষ্ট সম্মতির প্রকাশ ঘটে, তাহলে সেই বিয়ে বৈধ ও শুদ্ধ। তবে এসব ক্ষেত্রে সাক্ষী, উপযুক্ত প্রেক্ষাপট এবং স্পষ্টতা অপরিহার্য। যদিও শরয়ী দৃষ্টিতে বিভিন্ন বিকল্প শব্দে বিয়ে সম্পন্ন হয়, তবে সমাজে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে 'আমি কবুল করলাম' শব্দটি ব্যবহার করাই সবচেয়ে উত্তম।
আশা ইসলাম/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ডাকসু নির্বাচনে জয়ী শিবির প্যানেলকে যা বললেন নুর
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- আমানতের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ১০টি ব্যাংক: কারা আছে শীর্ষে
- মৃত্যুর পর মানুষ কিভাবে বুঝতে পারে সে মারা গেছে
- দেশের বাজারে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- জাকসু নির্বাচন: ৫ হলের অনানুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ, যারা হলেন বিজয়ী
- ডাক্তার-শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ভাতার সুপারিশ
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স হচ্ছে ৩৩ বছর
- জাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ভোট বর্জন নিয়ে যা বললেন শিক্ষার্থীরা
- আর্জেন্টিনার পরবর্তী দুই ম্যাচ, কবে কখন কোথায়
- আজ বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- লাফিয়ে বাড়ল স্বর্ণের দাম
- জানুন আজকের টাকার রেট: ডলার, ইউরো, রিয়াল
- পুলিশ খুঁজছে মুফতি তাহেরিকে: যে অভিযোগে মামলা
- ব্রাজিলের পরবর্তী দুই প্রীতি ম্যাচ: কবে, কখন, কোথায়