৬ ধরণের মানুষের জন্য ডাবের পানি বিপজ্জনক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাবের পানিকে প্রায়ই একটি সুপার ড্রিংক বলা হয় কারণ এতে কম ক্যালোরি, প্রচুর ইলেকট্রোলাইট এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি ত্বক ভালো রাখা, হজম উন্নত করা এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখার মতো অনেক উপকার করে। তবে, সবার জন্য এটি উপযুক্ত নয়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় ডাবের পানি উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করতে পারে।
১. ডায়াবেটিস রোগী
ডাবের পানিতে শর্করা থাকে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পারে। প্রতি ২০০ মিলিলিটার ডাবের পানিতে ৬-৭ গ্রাম শর্করা থাকে, যা নিয়মিত বা বেশি পরিমাণে পান করলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে প্যাকেটজাত ডাবের পানিতে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হলে তা আরও বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি সীমিত পরিমাণে পান করা বা এড়িয়ে চলাই ভালো।
২. যাদের অ্যালার্জি আছে
ডাবের পানিতে অ্যালার্জির সমস্যা বিরল হলেও, যাদের নারকেল বা বাদামে অ্যালার্জি আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে। ডাবের পানি পানের পর চুলকানি, ফোলাভাব, ত্বক লাল হওয়া, শ্বাসকষ্ট বা হজমে অস্বস্তির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি অ্যানাফিল্যাক্সিসের মতো মারাত্মক প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করতে পারে।
৩. কিডনি রোগী
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা সুস্থ মানুষের জন্য উপকারী। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনক। যদি কিডনি সঠিকভাবে পটাশিয়াম ফিল্টার করতে না পারে, তাহলে তা রক্তে জমা হয়ে হাইপারক্যালেমিয়া নামক সমস্যার সৃষ্টি করে। এর ফলে পেশী দুর্বলতা, বমিভাব এবং হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা হতে পারে। তাই কিডনি রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি পান করা উচিত নয়।
৪. ঠান্ডা ও ফ্লু’র সময়
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে, ডাবের পানি শরীরকে শীতল করে। এটি গ্রীষ্মকালে উপকারী হলেও, সর্দি-কাশি বা ফ্লু’র সময় পান করলে সমস্যা হতে পারে। এর শীতল প্রভাব শ্লেষ্মার পরিমাণ বাড়াতে পারে বা শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা হঠাৎ কমিয়ে দিতে পারে। তাই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকলে বা অসুস্থতার সময় ডাবের পানি এড়িয়ে চলা উচিত।
৫. উচ্চ রক্তচাপের রোগী
ডাবের পানি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, কারণ এতে থাকা পটাশিয়াম সোডিয়ামের প্রভাবকে প্রতিরোধ করে। কিন্তু যারা উচ্চ রক্তচাপের জন্য ওষুধ সেবন করেন, বিশেষ করে এসিই ইনহিবিটর বা পটাশিয়াম-স্পেয়ারিং ডাইইউরেটিকস, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এই ওষুধগুলো শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর সঙ্গে ডাবের পানি পান করলে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। এর ফলে বুক ব্যথা, বমিভাব ও পেশী দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে পারে।
৬. ইলেকট্রোলাইট সীমাবদ্ধ ডায়েট
যাদের হৃদরোগ বা কিডনি রোগের কারণে কম পটাশিয়াম বা ইলেকট্রোলাইট নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হয়, তাদের জন্য ডাবের পানি উপযুক্ত নয়। ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মিশ্রণ শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এর ফলে ক্লান্তি, পেশীতে খিঁচুনি এবং অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দাসী রেখে সহবাস: ইসলাম কী বলে
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০ আমিরাতি ভাড়াটে সেনা
- হাত-পায়ের এই ৭ লক্ষণ কিডনি নষ্টের ইঙ্গিত
- নতুন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসছে আওয়ামী লীগ
- তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত: বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা বাদ আনিসার
- বাংলাদেশ বনাম কোরিয়া, লাইভ দেখবেন যেভাবে
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৮০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ
- ৭২ ঘণ্টায় দেশের ২০ জেলা বন্যায় প্লাবিত হতে পারে
- ৯০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৬ গোলে হারল বাংলাদেশ
- সরকারি কর্মচারীর বেতন বাড়ছে: বসছে বেতন কমিশনের সভা
- সিজারে সন্তান নিলে কি জান্নাত মিলবে না
- ৯০ বছর ধরে হাতুড়ির বদলে গ্রেনেড ব্যবহার!
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম