| ঢাকা, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২

সীমান্তে বাঁধ দিচ্ছে বাংলাদেশ, ড. ইউনূসের মাস্টারস্ট্রোকে ভারতের ঘুম হারাম

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ এপ্রিল ২৫ ২১:৪৬:২৮
সীমান্তে বাঁধ দিচ্ছে বাংলাদেশ, ড. ইউনূসের মাস্টারস্ট্রোকে ভারতের ঘুম হারাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একের পর এক নীতিগত ও কৌশলগত সিদ্ধান্তে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী মুহুরী নদীর তীরে বাংলাদেশের বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম ঘিরে ভারত, বিশেষত ত্রিপুরা রাজ্যে দেখা দিয়েছে কূটনৈতিক ও পরিবেশগত উদ্বেগ।

উল্লেখযোগ্য যে, গত বছর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য হঠাৎ করেই নিজস্ব জলাধার থেকে পানি ছেড়ে দিলে বাংলাদেশের নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এতে লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুহুরী নদীর তীরে একটি প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বলছে, এটি একান্তই একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—নিজেদের জনগণকে আকস্মিক বন্যা থেকে রক্ষা করতেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই সীমান্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য।

ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মুহুরী নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের খবরে দক্ষিণ ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। গণমাধ্যমে এমনও বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের এই প্রকল্প যেন শুধু বাঁধ নয়—সরাসরি কূটনৈতিক বার্তা বহন করছে।

ত্রিপুরা সরকারের জলসম্পদ দফতরের সচিব কিরণ গিত্তে বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশ যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তার প্রতিক্রিয়ায় আমরাও যথাযথ প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা নিচ্ছি।”

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার স্পষ্টতই আত্মনির্ভরশীল ও পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করছে। শেখ হাসিনার সময় ভারতের প্রতি একপাক্ষিক নীতি অবলম্বনের যে অভিযোগ ছিল, তা থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ এখন নিজের স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক (ছদ্মনাম) ড. রাশেদুল করিম বলেন, “বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে দেশটি এখন কেবল ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ নয়, বরং ‘প্রতিরোধমূলক’ কূটনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।”

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ—প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ন্যায্য সম্পর্ক বজায় রাখা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। তবে সমতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতেই এই সম্পর্ক টেকসই হতে পারে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের প্রতিক্রিয়া যদি একতরফা হয়, তাহলে আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

বিসিবির পরিচালক পদে বিজয়ী হলেন যারা

বিসিবির পরিচালক পদে বিজয়ী হলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেক বাধা ও অনিশ্চয়তার পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের ...

আফগানিস্তান কেন নিজের দেশের মাঠে খেলতে পারে না

আফগানিস্তান কেন নিজের দেশের মাঠে খেলতে পারে না

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব হোম ভেনু থাকলেও, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের ঘর তাদের নিজেদের দেশ ...

ফুটবল

আর্জেন্টিনার পরবর্তী দুই ম্যাচ: মোবাইলে যেভাবে দেখবেন

আর্জেন্টিনার পরবর্তী দুই ম্যাচ: মোবাইলে যেভাবে দেখবেন

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তুমুল লড়াইয়ের পর এবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আসন্ন ...

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন

অবশেষে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যাত্রা। আজ, বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) নিজেদের ...