স্ত্রীদের কারনে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটাররা শেষ

বাংলাদেশের ক্রিকেট শুধু মাঠের পারফরম্যান্সেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মাঝেমধ্যে ক্রিকেটাররা শিরোনামে চলে আসেন। সম্প্রতি মুশফিকুর রহিমের স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডির একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। পোস্টের দুটি মূল বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয়েছে—একটি হলো মুশফিকের ২০টি ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে মাঠে নামা, আর অন্যটি খেলার আগে অযু করার প্রসঙ্গ।
ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা কি মাঠের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করছেন?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা প্রায়ই তাদের স্বামীদের কঠোর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন। তবে এটি কতটা যুক্তিসঙ্গত বা প্রয়োজনীয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। স্ত্রীরা যদি বেশি সোচ্চার হন, তাহলে তা কি ক্রিকেটারদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে? এই প্রশ্নও উঠছে।
কিছু সমালোচক মনে করেন, এমন পোস্টগুলো ক্রিকেটারদের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দেয়। এর আগেও সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের কিছু মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছিল। এবার মুশফিকের স্ত্রীর পোস্ট নিয়েও একই ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে।
২০টি পেইন কিলার নিয়ে খেলার দাবি কতটা বাস্তবসম্মত?
মুশফিকের স্ত্রী তার পোস্টে দাবি করেন, মুশফিক দেশের জন্য ২০টি ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু এই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসকদের মতে, একসঙ্গে এত ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এটি খেলোয়াড়ের শরীরের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে বা এমনকি তাকে খেলার অযোগ্য করে তুলতেও পারে।
এখানে প্রশ্ন হলো, মুশফিক কি একবারে ২০টি ওষুধ নিয়েছিলেন, নাকি এটি কয়েক দিনের ব্যবধানে ছিল? যদি এটি সত্যি হয়, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও দলের মেডিকেল ইউনিটের এ বিষয়ে তদন্ত করা উচিত।
অযু করে ব্যাট-বল ধরার প্রসঙ্গ
মুশফিকের স্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট ও বল স্পর্শ করতেন না। এই মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয় হলেও, অনেকে এটিকে ক্রিকেটের সঙ্গে ধর্ম মিশিয়ে ফেলার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
বাংলাদেশ দলে বিভিন্ন ধর্মের খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা সবাই দেশের জন্য খেলেন। মুসলিম ক্রিকেটাররা ধর্মীয় বিধি মেনে চললেও, খেলাধুলার জন্য অযু করা বাধ্যতামূলক কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ মনে করেন, এটি অতিরঞ্জিত, আবার অনেকে এটিকে ধর্মীয় অনুভূতির অংশ হিসেবে দেখছেন।
এছাড়াও, যদি মুসলিম ক্রিকেটাররা মাঠে নামার আগে অযু করেন, তাহলে দলে থাকা অন্যান্য ধর্মের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে বিষয়টি কিভাবে বিবেচিত হবে? এই প্রশ্নও অনেকে তুলেছেন।
ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা কি অতিরিক্ত সোচ্চার?
এ ধরনের বিতর্ক নতুন নয়। সাকিবের স্ত্রী শিশিরের আগের কিছু পোস্টও বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। বিশেষ করে, দেশের ছাত্র আন্দোলনের সময় যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ছবি পোস্ট করার ঘটনায় তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
অনেকে মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরাট কোহলি, লিওনেল মেসি বা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর স্ত্রীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এতটা সক্রিয় নন। তারা সাধারণত পারিবারিক জীবন নিয়েও কম কথা বলেন এবং খেলার বিষয়ে খুব একটা মন্তব্য করেন না। যদি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের স্ত্রীরাও সংযম দেখান, তাহলে ক্রিকেটারদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে না।
সংযমের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশ ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের চেয়ে বাইরের বিতর্কই যেন বেশি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। মুশফিকের স্ত্রীর সাম্প্রতিক স্ট্যাটাস সেটিরই উদাহরণ। ধর্মীয় প্রসঙ্গ টেনে আনা, অতিরঞ্জিত দাবি করা এবং ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের অতিরিক্ত সক্রিয়তা যে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি করে, তা আবারও প্রমাণ হলো।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা যদি সামাজিক মাধ্যমে কম সক্রিয় থাকেন এবং ব্যক্তিগত বিষয়গুলো কম প্রকাশ করেন, তাহলে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও উন্নত হবে এবং তারা অযাচিত সমালোচনার শিকার হবেন না।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- স্বর্ণের বাজারে বড় ধাক্কা, লাফিয়ে কমছে দাম
- আজ দেশের বাজারে এক ভরি সোনার দাম
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক