বিপিএল মাতিয়ে জাতীয় দলে জায়গার লড়াইয়ে শর্ট লিস্টে একাধিক ক্রিকেটার

২০২৫ সালের বিপিএল হয়ে উঠেছিল দেশের ক্রিকেটের জন্য এক বিশেষ মাইলফলক। এবারের আসরে শুধুমাত্র দলগুলোর পারফরম্যান্স নয়, বরং দেশীয় ক্রিকেটারদের ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্যই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তরুণদের দাপুটে পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই মনে করছেন, জাতীয় দলে জায়গা পেতে পারেন নতুন কিছু মুখ। যদিও ফরচুন বরিশাল শিরোপা জিতে বিপিএল শেষ করেছে, তবে মাঠের বাইরের বিতর্কের চেয়েও ক্রিকেটারদের অসাধারণ পারফরম্যান্স নিয়েই আলোচনা বেশি হয়েছে।
এবারের বিপিএল গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। দেশীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নজরকাড়া ছিল। ব্যাটিংয়ে শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে চারজনই ছিলেন স্থানীয় ব্যাটার, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভা নজর কেড়েছেন। বিশেষ করে ছক্কার দিক থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল চমকপ্রদ।
সাব্বির রহমান এবারের আসরে নিজের পুরনো ছন্দে ফিরেছেন। যদিও ঢাকা ক্যাপিটালস দল হিসেবে সফল হয়নি, তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তিনি আলাদা নজর কেড়েছেন। ৯ ইনিংসে ৩৫ গড়ে ও ১০৭ স্ট্রাইক রেটে ১৮৯ রান করার পাশাপাশি ১৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তার এই পারফরম্যান্স জাতীয় দলে ফেরার দরজা খুলে দিতে পারে।
তবে এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। খুলনার এই উইকেটকিপার-ব্যাটার ১২ ইনিংসে ৩১৬ রান করেছেন, যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৭৫। ডেথ ওভারে তার বিধ্বংসী ব্যাটিং বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে, কারণ বিপিএল ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যাটার যিনি ডেথ ওভারে ২০০-র বেশি রান করেছেন। তার দুর্দান্ত ফিনিশিং স্কিল তাকে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে।
বোলিং বিভাগেও বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার নিজেদের মেলে ধরেছেন। বিশেষ করে আলিস আল ইসলাম ছিলেন অসাধারণ। চিটাগং কিংসকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখা এই স্পিনার ১৫ উইকেট নিয়েছেন এবং দারুণ ইকোনমিক্যাল বোলিং করেছেন। একই সঙ্গে ব্যাট হাতেও ছোটখাটো অবদান রেখে তিনি জাতীয় দলে জায়গার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছেন।
এছাড়া, জাকির হাসান এবারের বিপিএলে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ১২ ইনিংসে ৩৮৯ রান করেছেন ১৪০ স্ট্রাইক রেটে এবং দুটি ম্যাচে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন। তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাকে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে রাখছে।
অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে আবু হায়দার রনি, ইয়াসির আলী চৌধুরী, আনামুল হক বিজয় ও রাব্বির মতো ক্রিকেটাররাও নিজেদের নতুন করে চিনিয়েছেন। তাদের পারফরম্যান্স জাতীয় দলের স্কোয়াড গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, বিপিএল ২০২৫ দেশের ক্রিকেটের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। তরুণদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স জাতীয় দলে নতুন মুখ দেখার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে, যা ভবিষ্যতের জন্য দারুণ আশার সঞ্চার করছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য
- এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি কর্মজীবনে সুখের ছোঁয়া