সংকটে থাকা ১০ ব্যাংকের জন্য বড় সুখবর
-1200x800.jpg)
সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে তুলনামূলক ভালো অবস্থায় থাকা ব্যাংক থেকে ঋণ পাবে। এ প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী রোববার থেকেই। ইতোমধ্যে পাঁচটি সংকটে থাকা ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে। এখন তাদের কেবল অতিরিক্ত তারল্য থাকা ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে সম্মত করাতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ভালো ব্যাংকগুলো আমানত বা প্লেসমেন্ট হিসেবে এই দুর্বল ব্যাংকগুলোতে অর্থ রাখবে। এজন্য বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক তাদের পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে। এই চুক্তির অধীনে, নির্দিষ্ট মেয়াদে তারা বিশেষ ঋণ পাবে, তবে এজন্য সবল ব্যাংকগুলোর সম্মতি প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে, সবল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে বৃহস্পতিবার এই পাঁচটি ব্যাংকের সাথে চুক্তি সইয়ের বিষয়ে সম্মতি জানিয়ে তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাওয়া সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন কবে এই ব্যাংকগুলো অর্থ গ্রহণ বা প্রদান করবে তা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরিদউদ্দীন আহমদ জানান, রোববারের মধ্যেই অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি কেউ ঋণ দিতে রাজি হয়।
৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদের মধ্যে ৮টি ব্যাংক ছিল এস আলমের অধীনে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আরও জানান, সরাসরি টাকা দেওয়ার পরিবর্তে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতির ওপর চাপ কমাতে সহায়ক হবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি মানে হলো, ঋণগ্রহীতা ব্যাংকগুলো ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ঋণ পরিশোধ করবে।
এছাড়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, পদ্মা ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকও বিশেষ ধার চেয়ে আবেদন করেছে। ৩ আগস্ট এক্সিম ব্যাংককে তিন মাসের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়। তবে ইসলামী ব্যাংকের নগদ প্রবাহ ভালো থাকায় তাদের আপাতত বিশেষ ধার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবং পদ্মা ব্যাংকের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ১১টি পুনর্গঠিত ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে টাকার তীব্র চাহিদার কারণে চরম সংকট তৈরি হয়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ২০৩০ সালে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- লাফিয়ে কমে গেল সোনার দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- ঈদুল আজহা হতে পারে ৬ জুন, সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা চার দিন
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে