অবশেষে এক লাফে কমলো পেঁয়াজের দাম
-1200x800.jpg)
রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন একটি ডিম কিনতে লাগছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা, আর এক ডজনের দাম ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা সরবরাহের ঘাটতির অজুহাত দিলেও তদন্তে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ডিম দুই-এক দিন মজুদ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই দাম বাড়ানোকে অস্বাভাবিক বলে দাবি করেছে। অধিদপ্তরের মতে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজির ফলেই ডিমের দাম বাড়ছে।
সরকার ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দিলেও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারণে সেই সুফল ভোক্তারা পাচ্ছে না। খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ডিম ডজনে ২২ থেকে ২৭ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রামপুরা, বাড্ডা, ও জোয়ারসাহারা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ খামারিরা এই ডিম পাইকারদের কাছে ১১ টাকা ৬০ পয়সা বা ডজনপ্রতি ১৩৯ টাকায় বিক্রি করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তেজগাঁও থেকে রাজধানীর ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়, এবং এসএমএসের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করা হয়।
তেজগাঁও ডিম আড়ত মালিক সমিতির কারসাজিকেই এ মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হচ্ছে। সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বলেন, বন্যার কারণে কিছু এলাকায় খামার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ডিমের সরবরাহ কমে গেছে। পাশাপাশি টানা বৃষ্টির কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে, তবে তিনি আশা করছেন ধীরে ধীরে দাম কমে আসবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানেও পাইকারি বিক্রেতাদের নানা অনিয়ম ধরা পড়েছে। তারা খামারিদের কাছ থেকে কম দামে ডিম কিনলেও পাকা রসিদ রাখেন না, যা কারসাজির অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার বলেন, ব্যবসায়ীরা মুনাফার যে হিসাব দেখাচ্ছেন, তা সঠিক নয়।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশে দৈনিক চার কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও, বর্তমানে বন্যা ও গরমের কারণে উৎপাদন ২০ থেকে ৩০ লাখ কমে গেছে। এ কারণেই কিছুটা চাহিদা বেড়ে ডিমের দাম বাড়ছে। তিনি উল্লেখ করেন, ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ২৯ পয়সা হলেও ভারতে তা মাত্র পাঁচ টাকা।
এদিকে, পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। সরকার পেঁয়াজ ও আলুর আমদানিতে শুল্ক কমানোর পর ভারতও পেঁয়াজ রপ্তানির শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়েছে। এর ফলে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ ১১৫ টাকা এবং অন্যান্য পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম এখনো ৬০ টাকায় রয়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ২০৩০ সালে ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত হবে
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে ৬ দিন
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- লাফিয়ে কমে গেল সোনার দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- ঈদুল আজহা হতে পারে ৬ জুন, সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা চার দিন
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- সেনাপ্রধানের নামে ভুয়া দাবি: ব্যারিস্টার সুমনের মুক্তির আসল সত্য
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- ২০৩৫ সালে বাংলাদেশে এক ভরি সোনার দাম কত হবে
- কত সম্পদ থাকলে কোরবানি ওয়াজিব হবে