সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
হাদির মুত্যু নিয়ে ভারত পাকিস্তান মিডিয়া; কে কি দাবি করছে
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘বীর’, ভারতে ‘উগ্রবাদ’ আর পাকিস্তানে ‘শহীদ’ উপাধি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু এবং তার জানাজাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে বইছে আলোচনার ঝড়। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের অন্যতম বড় এই জানাজা এবং হাদির রাজনৈতিক অবস্থানকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণে ব্যাখ্যা করেছে। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে এ নিয়ে এক প্রকার প্রচারযুদ্ধের আভাস পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ভাষ্য
বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো শরীফ ওসমান হাদিকে বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে চিত্রায়িত করেছে। তাকে ‘তরুণদের চোখের মণি’ ও ‘বিপ্লবী ছাত্রনেতা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে দাফন করার বিষয়টিকে নজরুলের বিপ্লবী চেতনার সাথে তুলনা করে সংবাদ প্রকাশ করেছে অনেক আন্তর্জাতিক মিডিয়া।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের অবস্থান
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো হাদির মৃত্যুকে অত্যন্ত আবেগঘনভাবে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিতে তুলে ধরেছে। তারা শরীফ ওসমান হাদিকে ‘মহান বীর’ এবং ‘শহীদ’ হিসেবে প্রচার করছে। পাকিস্তানি অনেক সংবাদপত্রে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW)-এর প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকি সেখানকার সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিকে নিজেদের ভাই হিসেবে সম্বোধন করে ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের নেতিবাচক প্রচার
অন্যদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে হাদির জানাজা ও ইনকিলাব মঞ্চের কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ বিপরীত ও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বিশাল জনসমাবেশকে তারা ‘উগ্রপন্থীদের উত্থান’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। জানাজা পরবর্তী ভিড়কে ‘সংসদ ভবন দখল ও ভাঙচুর’ এবং ‘সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষ’ বলে অপতথ্য প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে। অনেক গণমাধ্যম প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যর্থ এবং উগ্রপন্থীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
সংখ্যালঘু ইস্যু দিয়ে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা
বিশ্লেষকরা বলছেন, হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা এবং বিশাল জানাজাকে গুরুত্বহীন করতে ভারতীয় অনেক মিডিয়া বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোটখাটো সহিংসতা বা সংখ্যালঘু আক্রান্তের খবরকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করছে। আন্তর্জাতিক দরবারে বাংলাদেশকে একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ এবং ‘সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এক ধরনের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে তাদের প্রতিবেদনে।
সব মিলিয়ে শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু কেবল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন মহার্ঘ ভাতা: কোন গ্রেডের কত টাকা বাড়বে? জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়
- পে-স্কেল: আসছে ২৬ ডিসেম্বর নতুন ঘোষণা
- ৯ম পে-স্কেল: নতুন ঘোষণা আগামী শুক্রবার
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: বাড়ছে বেতন, সর্বনিম্ন বৃদ্ধি ৪ হাজার টাকা
- ২০২৬ সালেই ৯ম পে-স্কেল; সর্বনিম্ন বেতন হতে পারে ৩৫ হাজার টাকা!
- তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে নবম পে স্কেল; সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত
- মনোনয়নে বিএনপির বড় রদবদল: যাদের কপাল খুলল
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: ১৩ গ্রেড ও ৩২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতনের সুপারিশ
- বাংলাদেশে যে রক্তের গ্রুপে হার্ট অ্যাটাক বেশি হয়
- নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন ঘোষণা
- কেন আটকে আছে নতুন পে-স্কেল
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: রিপোর্টে যা যা আছে
- আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ সোনার দাম
- হাদিকে যে প্রস্তাব দিয়েছিল শুটার ফয়সাল
