রোগ, দুঃখ, হতাশা থেকে মুক্তি: শায়খ আহমাদুল্লাহর পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষ প্রতিনিয়ত নানা ধরনের রোগ, দুঃখ ও হতাশায় জর্জরিত থাকে। কিন্তু ইসলামে এমন কিছু আমল রয়েছে, যা নিয়মিত করলে এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ রোগ, দুঃখ ও হতাশা থেকে পরিত্রাণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী, এই আমলগুলো দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলন করলে মানসিক শান্তি ও সুস্থ জীবন লাভ করা যেতে পারে।
মানসিক চাপ বা টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু আমল নিচে দেওয়া হলো:
দোয়া:
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আ'উযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল আ'জযি ওয়াল কাসালি ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি ওয়া দ্বালা'য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল" (অর্থ: হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে, ঋণগ্রস্ত হওয়া ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে)।
শায়খ আহমাদুল্লাহ'র পরামর্শকৃত আমলসমূহ:
১. তাওবা ও ইস্তেগফার:
প্রতিদিনের জীবনে কৃত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে খাঁটি দিলে তাওবা করা এবং ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা অত্যন্ত জরুরি। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেও দৈনিক ১০০ বারের বেশি ইস্তেগফার করতেন। নিয়মিত ইস্তেগফার করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার জীবনে বরকত দান করেন, যা দুঃখ ও হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।
২. কোরআন তিলাওয়াত ও এর উপর আমল:
কোরআন হলো মুসলিমদের জন্য হেদায়েতের মূল উৎস। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা এবং এর অর্থ বুঝে সে অনুযায়ী জীবনযাপন করা সকল প্রকার মানসিক ও আত্মিক রোগের শেফা। কোরআনের আয়াতগুলো অন্তরকে প্রশান্তি দেয় এবং হতাশা দূর করে।
৩. সালাত (নামাজ) প্রতিষ্ঠা:
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করা ইসলামের মূল স্তম্ভ। নামাজ আল্লাহর সাথে বান্দার সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম। নিয়মিত নামাজ আদায় করলে মন শান্ত থাকে, মানসিক চাপ কমে এবং হতাশা দূর হয়। নামাজ মানুষকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে এবং আল্লাহর উপর ভরসা বাড়ায়।
৪. দু'আ ও যিকির:
আল্লাহর কাছে দু'আ করা এবং তাঁর যিকির (স্মরণ) করা সকল সমস্যার সমাধান। সকাল-সন্ধ্যায় এবং অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন যিকির ও দু'আ পাঠ করলে অন্তর প্রশান্ত হয় এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। বিশেষ করে বিপদাপদে ও দুশ্চিন্তায় আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তা দূর করে দেন।
৫. আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল (ভরসা):
সকল পরিস্থিতিতে আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যখন কোনো সমস্যা আসে, তখন হতাশ না হয়ে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করলে তিনি পথ খুলে দেন। তাওয়াক্কুল মানুষকে মানসিক শক্তি যোগায় এবং যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করে।
৬. সাদাকা (দান):
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করা বালা-মুসিবত দূর করে এবং রোগ থেকে মুক্তি দেয়। সাদাকা মানুষের মনকে উদার করে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত নিয়ে আসে। গোপনে বা প্রকাশ্যে সাদাকা করলে তার সুফল জীবনে প্রতিফলিত হয়।
৭. ধৈর্য ও শুকরিয়া:
বিপদাপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর নিয়ামতসমূহের জন্য শুকরিয়া আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধৈর্য মানুষকে কঠিন সময়ে টিকে থাকতে সাহায্য করে এবং শুকরিয়া আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, যা জীবনে আরও বরকত নিয়ে আসে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই আমলগুলো শুধু ইহকালের শান্তিই নয়, বরং পরকালের মুক্তির পথও সুগম করে। নিয়মিত এই আমলগুলো করার মাধ্যমে একজন মুসলিম রোগ, দুঃখ ও হতাশা থেকে দূরে থেকে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে।
আয়শা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে-স্কেল: ৯০% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ, আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত রিপোর্ট!
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ ঘোষণা: যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে উত্তেজনা: সবশেষ পরিস্থিতি কি?
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- ওসমান হাদির সবশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক
- পে-স্কেল নিয়ে সর্বশেষ সুখবর যা জানা গেল
- আজকের সোনার বাজারদর: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ : সিসিটিভি ফুটেজে যা মিললো
- হাদির ওপর হামলা কারছে কে, জানালেন আইজিপি
- আজকের সকল টাকার রেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
- জানা গেল হাদির ওপর হামলাকারীকে নিয়ে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: যা জানা গেলো
- নির্বাচনের আগে পে-স্কেলের গেজেট নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা
- শনি ও রোববার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, যেভাবে দেখবেন
