
সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
এবার একসাথে প্রস্তুত রাশিয়া ও চীনের সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যখন বিশ্বজুড়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে, তখন একযোগে সামরিক প্রস্তুতির ঘোষণা দিল রাশিয়া ও চীন। ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা চলছে পুরোদমে—এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া-চীনের বন্ধুত্ব শুধু দৃঢ়ই নয়, বরং সরাসরি সামরিক সহযোগিতার দিকে এগোচ্ছে।
সম্প্রতি রাশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশ নেয় চীনের একটি প্রতিনিধিদল। এটি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য নয়—বরং সামরিক ঐক্যের একটি স্পষ্ট বার্তা। কুচকাওয়াজের পর বেইজিং জানায়, তারা রাশিয়ার সঙ্গে বাস্তবিক সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং বিন বলেন,“চীন-রাশিয়ার সামরিক সম্পর্ক এখন উচ্চমাত্রায় রয়েছে। আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা কৌশলগত স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে এবং পারস্পরিক আস্থা আরও দৃঢ় করবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোনো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নয়—বরং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া ও চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। শুধু কূটনীতিক বিবৃতি নয়—অর্থনীতি, প্রযুক্তি এবং সামরিক মহড়ায়ও তারা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং সম্প্রতি মস্কো সফরে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর তিনি বলেন,“রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিশ্বে ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। আধিপত্যবাদ ও একতরফা নীতির বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছি।”
তবে চীনের এই অবস্থান নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে প্রশ্ন উঠেছে—চীন কি আদৌ নিরপেক্ষ? ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ানো মানে কি যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে উৎসাহ দেওয়া নয়? পশ্চিমা মিত্রদের মতে, চীন এখন আর নিরপেক্ষ নয়—বরং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে সহায়তা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পথ সহজ করে দিচ্ছে।
বেইজিং অবশ্য এ অভিযোগ নাকচ করে বলছে, তারা কোনো পক্ষ নিচ্ছে না—বরং যুদ্ধবিরোধী অবস্থান নিয়েই শান্তির পথে হাঁটছে। চীনের অভিযোগ, পশ্চিমারা নিজেরা অস্ত্র পাঠায়, অথচ চীনকে বলে নিরপেক্ষ থাকতে—যা দ্বিচারিতার পরিচায়ক।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, চীনের রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পেছনে রয়েছে বহুস্তরীয় কৌশল। যেমন:
* ইউরেশিয়ায় নিজেদের প্রভাব বাড়ানো
* ন্যাটো জোটকে চ্যালেঞ্জ করা
* ডলারভিত্তিক বিশ্ব অর্থনীতি থেকে সরে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের পথে রাশিয়াকে সঙ্গে নেওয়া
* আর সবচেয়ে বড় বিষয়, ভূরাজনৈতিক স্বার্থে ভবিষ্যতে তাইওয়ান ইস্যুতে রাশিয়ার সমর্থন নিশ্চিত করা।
এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া-চীনের সামরিক ঐক্য কেবল একটি কূটনৈতিক ঘোষণা নয়—বরং বিশ্ব রাজনীতিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি শক্তির সমীকরণ। অনেকেই বলছেন, একটি নতুন ‘কোল্ড ওয়ার’ সময়ের অপেক্ষায়। এখন প্রশ্ন হলো—এই জোট কি শান্তির বার্তা নাকি আরও বড় উত্তেজনার সূচনা?
এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময়ই দেবে। তবে ইতিহাস বলে—যখন দুই পরাশক্তি হাতে হাত রাখে, তখন বিশ্ব মানচিত্রে নতুন রেখা আঁকা হয়।
সোহাগ আহমেদ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাসায় পিঁপড়ে, জানুন আল্লাহর ৫টি গোপন বার্তা!
- গোপন আওয়ামী প্রশিক্ষণ: মেজর সাদিকের আসল পরিচয় ফাঁস
- বাংলাদেশের বাজারে সোনার দাম কমলো: নতুন দর কার্যকর
- সৌদি আরবে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণদের জন্য ৩০ দিনের বাড়তি সুযোগ!
- ভূমিকম্পের বার্তা: মহাবিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ
- হাসিনাকে 'পুশ ইন' করার আহ্বান: কাল্পনিক চিত্র, রাজনৈতিক তোলপাড়
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের সম্ভাব্য স্কোয়াড চূড়ান্ত, বাদ পড়লেন সৌম্য, মিরাজ
- জ্বালানি তেলের নতুন করে নির্ধারণ: আজ কার্যকর
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হয়নি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে গুজব
- সরকারি কর্মকর্তাদের 'বিশেষ সুবিধা'র গ্রেড নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি সোনার দাম
- এনসিপিতে বড় ধাক্কা, ২ নেতার পদত্যাগের আসল কারণ ফাঁস!
- আজ থেকে কার্যকর: বাংলাদেশের বাজারে কমলো সোনার দাম