সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
২০৫০ সালে ১ কোটি টাকার মান কত হবে!
যদি সোনার দামের ঐতিহাসিক বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ আপনার আজকের ১ কোটি টাকা দিয়ে ২৫ (১ ভরি সমান ১১.৬৬৪ গ্রাম) গ্রাম সোনাও কেনা সম্ভব হবে না। বিগত ২৫ বছরে বাংলাদেশে সোনার দাম ১০ গ্রাম (১ ভরি সমান ১১.৬৬৪ গ্রাম) ৪,৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ২ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা বার্ষিক গড়ে ১৪.৬% রিটার্ন দিয়েছে। এই বিশ্লেষণ দেখায় যে কীভাবে সময়ের সাথে সাথে অর্থের মূল্য হ্রাস পায় এবং কেন মূল্যস্ফীতিকে হারাতে ও সম্পদ রক্ষা করতে সোনা অন্যতম সেরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত।
২০৫০ সালে ১ কোটি টাকার ক্রয়ক্ষমতা
মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থের মূল্য ক্রমাগত কমতে থাকে। যখন আপনার আজকের ১ কোটি টাকাকে ২০৫০ সালের সম্ভাব্য সোনার দামের সঙ্গে তুলনা করা হবে, তখন দেখা যাবে সেই অর্থ দিয়ে বর্তমানের তুলনায় সামান্য অংশেই সোনা কেনা যাবে। এই বাস্তবতা থেকেই বোঝা যায়, সময়ের সাথে সাথে সম্পদ সুরক্ষিত রাখতে হলে মূল্যস্ফীতি বোঝা এবং বুদ্ধিদীপ্ত বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
* ঐতিহাসিক বৃদ্ধি: ২০০০ সালে যেখানে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল মাত্র ৪,৪০০ টাকা ১০ গ্রাম (১ ভরি সমান ১১.৬৬৪ গ্রাম), সেখানে ২০২৫ সালের অক্টোবরে তা ২ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
* সোনা কেন নিরাপদ বিনিয়োগ? মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রার অস্থিরতার সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য সোনা সবসময় একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেছে। বিগত ২৫ বছরে সোনার এই বৃদ্ধি প্রচলিত সেভিংস স্কিম বা ব্যাংক আমানতের চেয়ে অনেক বেশি।
২০৫০ সালে সোনার সম্ভাব্য দাম ও ক্রয়ক্ষমতা
যদি সোনার দাম আগামী ২৫ বছরেও একই হারে (১৪.৬% সিএজিআর) বাড়তে থাকে, তাহলে ২০৫০ সালে প্রতি ১০ গ্রাম ২২ ক্যারেট (১ ভরি সমান ১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পৌঁছাতে পারে।
* ১ কোটি টাকায় কত সোনা; এই অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সালে আপনার ১ কোটি টাকা দিয়ে মাত্র ২৫ গ্রাম সোনা কেনা যাবে।
* বর্তমান চিত্র: এর বিপরীতে, ২০২৫ সালের অক্টোবরে ১ কোটি টাকা দিয়ে আপনি প্রায় ৮০০ গ্রাম (০.৮ কেজি) সোনা কিনতে পারছেন।
দ্রষ্টব্য: এই হিসাবটি একটি অনুমান মাত্র। সুদের হার, ডলারের অবস্থান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থার মতো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বহুবিধ কারণের ওপর সোনার দাম নির্ভর করে। তাই ২০৫০ সালে দাম ৪০ লক্ষ টাকার চেয়ে কম বা বেশিও হতে পারে।
দাম বাড়ার কারণ কী
বিগত ২৫ বছর ধরে যখনই স্টক মার্কেট বা বন্ডের মতো অন্যান্য সম্পদ বিনিয়োগের আকর্ষণ হারিয়েছে, তখনই সোনা তার অবস্থান মজবুত করেছে।
* অর্থনৈতিক অস্থিরতা: অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মুদ্রার দুর্বলতার বিরুদ্ধে সোনা সব সময় সম্পদ রক্ষার ঢাল হিসেবে কাজ করে।
* কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয়: কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বড় বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত সোনা কিনে মজুত করার প্রবণতাও এর দামকে সমর্থন করে।
* সাম্প্রতিক প্রভাব: শুধু গত এক বছরেই ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৬৭% এর বেশি বেড়েছে। ডলারের দুর্বলতা, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সোনার চাহিদা আরও বাড়িয়েছে।
যদি গত ২৫ বছরের বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকে, তবে ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতিকে হারানোর ক্ষেত্রে সোনা আবারও সেরা বিনিয়োগ প্রমাণিত হতে পারে। যদিও প্রতিটি বিনিয়োগেরই উত্থান-পতন আছে, তবে 'নিরাপদ আশ্রয়' হিসেবে সোনার খ্যাতি আগামী কয়েক দশকেও অটুট থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য- এই রিপোর্ট টি ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে)
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেল: কার্যকর হবে জানুয়ারি ২০২৬ থেকে
- পে-স্কেল কার্যকর নিয়ে মিললো চরম অনিশ্চয়তা
- নতুন পে স্কেলে পেনশন ও গ্র্যাচুইটিতে আসছে বড় পরিবর্তন!
- আজকের সোনার বাজারদর: ৫ নভেম্বর ২০২৫
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- পে স্কেলে চিকিৎসা ভাতা বেড়ে যত টাকা হতে পারে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৬ নভেম্বর ২০২৫
- সরকারি কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধি: চূড়ান্ত প্রস্তাব আসছে জানুয়ারিতে
- আফগানিস্তান দলের হেড কোচ হচ্ছেন মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন
- আপনার ফোন বৈধ না অবৈধ; ১৬ ডিসেম্বরের আগে চেক করুন সহজে
- নতুন পে-স্কেলে কমছে গ্রেড, কোন গ্রেডে বেতন কত হতে পারে
- সরকারি কর্মকর্তাদের বড় সুখবর: ভাতা বাড়ল দ্বিগুণ
- নতুন পে স্কেল: বেতন বাড়ছে ৭০% থেকে ১০০% পর্যন্ত
- গ্রেড কমছে ২০ থেকে ১২, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকার প্রস্তাব
- নতুন পে-স্কেলে: বেতন বাড়তে পারে ১০০% পর্যন্ত, গ্রেড কমছে ১২টি
