খাঁটি সোনা চেনার সহজ উপায়: ঠকে যাওয়ার আগে জেনে নিন ৫টি জরুরি কৌশল
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোনার প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন। দাম যতই বাড়ুক না কেন, বিয়ে, উৎসব বা বিশেষ অনুষ্ঠানে সোনার গহনার চাহিদা কখনও কমে না। অলঙ্কার ছাড়াও সম্পদ হিসেবে সোনার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই শুধু দোকান নয়, ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে সোনা কেনেন। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো, কীভাবে নিশ্চিত হবেন যে সোনাটা খাঁটি?
জুয়েলারি বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে খাঁটি সোনা চেনা সম্ভব। খাঁটি সোনা চেনার তেমনই ৫টি কার্যকর কৌশল নিচে দেওয়া হলো:
১. হলমার্ক চিহ্ন যাচাই করুন:
সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সহজ উপায় হলো গহনার হলমার্ক চিহ্নটি দেখা। সাধারণত গহনার ভেতরের দিকে এই চিহ্নটি খোদাই করা থাকে, যেখানে ১৮, ২২ বা ২৪ ক্যারেট লেখা থাকে। এই সংখ্যা নির্দেশ করে সোনার মান। সংখ্যা যত বেশি হবে, সোনা তত খাঁটি। কেনার আগে এই চিহ্নটি অবশ্যই পরীক্ষা করুন।
২. নাইট্রিক অ্যাসিড পরীক্ষা (রাসায়নিক পদ্ধতি):
খাঁটি সোনার সঙ্গে নাইট্রিক অ্যাসিডের কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় না। কিন্তু যদি সোনাতে কোনো মিশ্র ধাতু (যেমন তামা বা ব্রোঞ্জ) মেশানো থাকে, তবে অ্যাসিডের সংস্পর্শে তা প্রতিক্রিয়া করে। একটি ছোট স্থানে সোনা সামান্য ঘষে নিয়ে এক ফোঁটা নাইট্রিক অ্যাসিড ফেলুন।
* যদি রঙ অপরিবর্তিত থাকে: সোনা খাঁটি।
* যদি রঙ পরিবর্তন হয়ে সবুজাভ হয়: বুঝতে হবে তাতে মিশ্র ধাতু বা ভেজাল আছে।
৩. পানিতে ফেলে দেখুন:
খাঁটি সোনা অত্যন্ত ঘন এবং ভারী ধাতু। তাই একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে সোনার গহনা ফেলুন।
* যদি গহনা ভেসে থাকে বা ভাসতে থাকে: এটি নকল বা ভেজাল মিশ্রিত হতে পারে।
* যদি দ্রুত নিচে ডুবে যায়: খাঁটি সোনা পানিতে ভাসবে না, এটি তাৎক্ষণিকভাবে পাত্রের নিচে ডুবে যাবে।
৪. চুম্বক পরীক্ষা:
সোনা হলো একটি 'ডায়াম্যাগনেটিক' ধাতু, অর্থাৎ এটি চুম্বকে আকৃষ্ট হয় না। তাই একটি শক্তিশালী চুম্বক সোনার গহনার কাছে ধরুন।
* যদি গহনা চুম্বকে আটকে না যায়: সোনা খাঁটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
* যদি গহনা চুম্বকের দিকে আকৃষ্ট হয় বা আটকে যায়: তাহলে বুঝতে হবে তাতে লোহা বা অন্য মিশ্র ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে।
৫. কষ্টিপাথরে ঘষে দেখা (স্ক্র্যাচ টেস্ট):
যদিও ঘরে বসে এটি করা সম্ভব নয়, তবে অনেক পেশাদার স্বর্ণকার কষ্টিপাথরে সোনা ঘষে দেখে এর বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করেন। তবে নিজেই যদি সামান্য ঘষে দেখতে চান, এবং ঘষার পর যদি দ্রুত রঙ পরিবর্তন হয় বা ধাতব অন্য কোনো রঙ বেরিয়ে আসে, তবে সোনাটি মিশ্র বা নকল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, দোকান বা ব্যক্তিগত বিক্রেতা—উভয়ের কাছ থেকেই প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সোনার গহনা কেনার সময় কেবল দামের দিকে নজর না দিয়ে এর বিশুদ্ধতা যাচাই করাও সমান জরুরি।
রাকিব/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে ২০ গ্রেডের জন্য নতুন বেতন স্কেল প্রকাশ
- নতুন পে স্কেল কার্যকর যে মাসে
- রেকর্ড পতনের পর আবারও কমল স্বর্ণের দাম
- দ্বিগুণ উৎসব ভাতা, ৮০% বাড়ি ভাড়া ও ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব
- হঠাৎ কেন ১০ বছরের সর্বনিম্ন ধস নামল স্বর্ণের দামে
- নতুন পে স্কেলে কোন গ্রেডে কত টাকা বাড়ল বেতন
- স্বর্ণের দামের ১২ বছরে সবচেয়ে বড় পতন
- নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব: সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার
- বাংলাদেশের বাজারে আজ যে দামে বিক্রি হবে সোনা
- সর্বোচ্চ বেতন দেড় লাখ, সর্বনিম্ন ১৬ হাজার: বাড়ছে ৯০ থেকে ৯৭%
- রেকর্ড পতনের পর নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- নতুন বেতন কাঠামো: বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্যও সুখবর
- রেকর্ড দরপতনের পর সস্তা হলো সোনা দাম, আজ এক ভরি কত
- ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধস বিশ্ববাজারে সোনার দামে
- পে স্কেল নিয়ে এবার বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর
