উপদেষ্টার পরিবারের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকার ফ্যাক্টরি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি টেলিভিশন আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন জুলকারনাইন সা'য়ের। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন যে, একজন উপদেষ্টার স্বামী ও ছেলে মিলে জনগণের আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নিজেদের নামে স্থানান্তর করেছেন।
'সেইফ এক্সিট' ও উপদেষ্টাদের ভূমিকা:
আলোচনায় 'সেইফ এক্সিট' (Safe Exit) বা নিরাপদে সরে যাওয়ার প্রসঙ্গে জুলকারনাইন সায়ের বলেন, নাহিদ ইসলামের মন্তব্যটি ভুল নয়, বরং বাস্তবভিত্তিক। তিনি নিশ্চিত করেন যে, কিছু উপদেষ্টা ইতোমধ্যে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন এবং গণআন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
সরাসরি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ:
জুলকারনাইন সায়ের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, একজন উপদেষ্টার স্বামী আবু বকর সিদ্দিক এবং ছেলে মিলে নসরুল আহমেদ দিপু ও তার ভাই ইনতেখাবুল হামিদ-এর মালিকানাধীন হামিদ সোয়েটার্স (Hamid Sweaters) নামের ফ্যাক্টরিটির মালিকানা গ্রহণ করেন।
* ফ্যাক্টরির মূল্য ও কর্মী: প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা মূল্যমানের এই ফ্যাক্টরিতে প্রায় ৬০০ কর্মী কাজ করেন।
* পদ্ধতি: জুলকারনাইন দাবি করেন, এই হস্তান্তরে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক দলিল পাওয়া যায়নি এবং তিনি এই পুরো প্রক্রিয়াকে 'বিশ্বাসঘাতকতা' হিসেবে আখ্যা দেন।
* অন্যান্য অভিযোগ: তিনি আরও অভিযোগ করেন, আরেক উপদেষ্টার ভাইয়ের মোতালেব প্লাজায় দোকান কেনার খবর রয়েছে, যদিও এর সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া, তার হাতে কিছু ফোন কল রেকর্ড এসেছে যেখানে হোটেল কক্ষে ঘুষ চাওয়া এবং নো অবজেকশন (এনও হা) দেওয়ার বিনিময়ে অর্থ লেনদেনের কথা রয়েছে।
বিদেশী কোম্পানিকে চুক্তি দেওয়ার অভিযোগ:
আলোচনায় 'থাকরাল' (Thakral) নামের একটি ভারতীয় ও সিঙ্গাপুর ভিত্তিক কোম্পানির প্রসঙ্গেও অভিযোগ তোলা হয়। জুলকারনাইন বলেন, এই কোম্পানিটি পূর্বের সরকারের আমল থেকেই একের পর এক চুক্তি পেয়ে আসছে। তিনি ৪.৬ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি মে ২০২৫-এ ফয়েজ তায়েব অনুমোদন করেন।
এনবিআর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ও তদন্তের দাবি:
জুলকারনাইন সায়ের সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা বেল্লাল হোসেন চৌধুরী-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন।
* দুদকের তদন্ত: বেল্লাল হোসেন চৌধুরী ৫ কোটি টাকার সম্পদ গোপনের অভিযোগে দুদকের তদন্তাধীন ছিলেন এবং উচ্চ আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ব্যর্থ হন।
* দায়িত্বের অপব্যবহার: অভিযোগের পরেও তাকে কাস্টমস ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা জুলকারনাইনের ভাষায় 'দায়িত্বের চরম অপব্যবহার'।
* অন্যান্য ভূমিকা: তিনি আরও দাবি করেন, এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগে বেল্লাল হোসেন চৌধুরী মূল ভূমিকা পালন করতেন। জুলকারনাইন অবিলম্বে এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানান।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ:
নির্বাচন নিয়ে জুলকারনাইন সা'য়ের মন্তব্য করেন, "আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে বোঝা যাবে, নির্বাচন সময়মতো হবে কি না।" তিনি জোর দেন যে, প্রায় ১২ কোটি ভোটারের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় নিশ্চিত করা জরুরি।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে পেনশন ও গ্র্যাচুইটিতে আসছে বড় পরিবর্তন!
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- পে স্কেলে চিকিৎসা ভাতা বেড়ে যত টাকা হতে পারে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৬ নভেম্বর ২০২৫
- সরকারি কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধি: চূড়ান্ত প্রস্তাব আসছে জানুয়ারিতে
- আফগানিস্তান দলের হেড কোচ হচ্ছেন মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন
- সরকারি কর্মকর্তাদের বড় সুখবর: ভাতা বাড়ল দ্বিগুণ
- নতুন পে স্কেল: বেতন বাড়ছে ৭০% থেকে ১০০% পর্যন্ত
- আপনার ফোন বৈধ না অবৈধ; ১৬ ডিসেম্বরের আগে চেক করুন সহজে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৭ নভেম্বর ২০২৫
- দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা চূড়ান্ত
- নতুন পে স্কেলে ব্যয় বাড়বে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা: অর্থের যোগান দেবে সরকার কীভাবে
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম কত
- বাবার নামের বিদ্যুৎ মিটার নিজের নামে করবেন যেভাবে
