তিস্তা মহাপরিকল্পনায় কি আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং এর জন্য চীনের কাছে ৬,৭০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা আশা করছেন, এ বছরের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে আর্থিক চুক্তি সই হতে পারে। প্রকল্পটি 'কম্প্রিহেন্সিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন অফ তিস্তা রিভার প্রজেক্ট' নামেও পরিচিত।
প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও গুরুত্ব
পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দ রিজোয়ানা হাসান জানিয়েছেন, তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী হলেও ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ন্যায্য পানির হিস্যা পাচ্ছে না। ফলে প্রতি বছর নদী ভাঙন, বন্যা এবং সেচের পানির অভাবে তিস্তা অববাহিকার মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এই মহাপরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা, আকস্মিক বন্যা ও ভাঙন থেকে মানুষকে বাঁচানো এবং নদী তীরবর্তী জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
প্রকল্পের আর্থিক দিক
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯,১৫০ কোটি টাকা (৭৫ কোটি ডলার)। এর মধ্যে ৬,৭০০ কোটি টাকা (৫৫ কোটি ডলার) চীনের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে চাওয়া হয়েছে, বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হবে। প্রকল্পটি ২০২৪ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় যা থাকছে
প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, তিস্তা মহাপরিকল্পনার আওতায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হবে:
* নদী ব্যবস্থাপনা: নদীর ১০২ কিলোমিটার অংশ খনন করা হবে, যা নদীর গভীরতা প্রায় ১০ মিটার বাড়াবে এবং বন্যার প্রকোপ কমাবে।
* ভূমির উন্নয়ন: ১৭৫ বর্গ কিলোমিটার ভূমি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন করা হবে।
* বাঁধ নির্মাণ: ২০৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
* শহর ও অবকাঠামো: নদীর দুই পাড়ে স্যাটেলাইট শহর, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
* নিরাপত্তা ব্যবস্থা: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নদীর দুই পাড়ে থানা, কোস্টগার্ড এবং সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশের সামনে চীনের সাহায্য নেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল এএনএম মনিরুজ্জামান এই মুহূর্তে চীনের ঋণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, শিলিগুড়ি করিডোর অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় ভারত ওই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি পছন্দ করবে না এবং এর ফলে ভারতের তরফ থেকে বিরোধিতা আসতে পারে। তিনি মনে করেন, এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বদলে নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আপনি কি মনে করেন এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ?
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম হংকং ২য় ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কিভাবে দেখবেন
- নবম পে স্কেল: সরকারি কর্মীদের সর্বনিম্ন বেতন ৩২০০০
- আগামী ১০ বছর পর এক ভরি সোনার দাম কতো হবে
- ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন
- আর্জেন্টিনা বনাম স্পেন ফাইনালিসিমা: তারিখ ঘোষণা
- বাংলাদেশের বাজারে আজ রেকর্ড দামে সোনা
- কবে থেকে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- ফের বিয়ে করলেন তনি! কে এই ‘তৃতীয় স্বামী’ মো. সিদ্দিক
- আজ বাংলাদেশ-হংকংয়ের ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ: সময়সূচি ও লাইভ দেখুন
- এইচএসসি ফলাফল ২০২৫: অনলাইনে দেখুন ফলাফল ও মার্কশিট
- আর্জেন্টিনা বনাম পুয়ের্তো রিকো: কখন, কোথায়, মোবাইলে কিভাবে দেখবেন
- মক্কায় ১২৫ কিলোমিটারজুড়ে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার
- জাপান বনাম ব্রাজিল: কখন, কোথায়, মোবাইলে কিভাবে দেখবেন
- লাফিয়ে বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম; মঙ্গলবার থেকে কার্যকর