নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকেই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের গভীরে সেনাবাহিনীর প্রতি এক ধরনের শীতল বিদ্বেষ কাজ করছে বলে অনেকের ধারণা। সেই হত্যাকাণ্ডে নিজের পরিবারকে হারানোর বেদনা তার মনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। বহু বছর ধরে তিনি প্রকাশ্যে গণতন্ত্রের কথা বললেও, তার রাজনৈতিক পদক্ষেপের পেছনে প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা কাজ করেছে বলে মনে করা হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা এখন দিল্লিতে অবস্থান করছেন। কথিত আছে, সেখান থেকেই তিনি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তিনি সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ ও বিদ্রোহের বীজ বপন করার চেষ্টা করছেন।

এই পরিকল্পনার মূল দায়িত্বে আছেন একজন সামরিক কর্মকর্তা, মেজর সাদেক। তবে তার পেছনে একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক কাজ করছে, যার সঙ্গে রাজনৈতিক ক্যাডার, প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা এবং রোহিঙ্গা তরুণরাও জড়িত। ময়মনসিংহ ও মাদারীপুরের গোপন ক্যাম্পগুলোতে তাদের গেরিলা যুদ্ধ এবং ড্রোন পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই গোপন বাহিনীর লক্ষ্য হলো, প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রকে অচল করে দেওয়া এবং সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এখনো বিশ্বাস করেন যে তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল। তাই তিনি প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর। তার এই গোপন কার্যকলাপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।

সোহাগ/