ভারতের ষড়যন্ত্রেই কি সংস্কারবিহীন নির্বাচনের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর দেশ এক কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। শেখ হাসিনার দমন-পীড়ন, রাতের ভোট, গুম-খুন আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শাসনের পর জনগণের অভ্যুত্থানে উঠে আসে একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সংকটময় মুহূর্তে দায়িত্ব পান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শান্তিকর্মী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
ছাত্র-জনতার একত্র দাবিতে, সব রাজনৈতিক পক্ষের সমর্থনে এবং আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও একটি নিরপেক্ষ নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর আশায় শুরু হয় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পথচলা। তবে নতুন আশার সূর্য ওঠার আগেই ঘনিয়ে আসে নতুন ষড়যন্ত্রের মেঘ।
শোনা যাচ্ছে, ভারতের নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন এখন বাংলাদেশে সংস্কারবিহীন একটি তথাকথিত "গণতান্ত্রিক" নির্বাচন চাইছে। উদ্দেশ্য একটাই—প্রতিনিধিত্বশীল শক্তি গঠনের নামে শেখ হাসিনার মতপন্থী গোষ্ঠীকে আবারও পুনর্বাসনের পথ সুগম করা।
ভারতীয় মিডিয়া ও কূটনৈতিক মহলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে—"অন্তর্বর্তী সরকারের জনগণের ম্যান্ডেট নেই।" অথচ বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সরকার এসেছে জনতার আন্দোলনের ফল হিসেবে, যেখানে হাজারো মানুষ জীবন দিয়েছেন। এটি কোনো বিদেশি চাপ বা গোপন সমঝোতায় আসা চুক্তি নয়।
ড. ইউনুস ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ কেউ নন। বরং তিনিই সেই নেতা যিনি সংকটে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের জন্য। তাই ভারত বা কোনো শক্তির পক্ষে এই সরকারকে "অনির্বাচিত" বলে উপস্থাপন করা কেবল চক্রান্ত নয়—বরং জনগণের রায়ের অবমাননা।
প্রসঙ্গত, যখন শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে করতেন, মৃত ভোটারদের দিয়ে নির্বাচন করতেন, বিরোধী নেতাদের কারাগারে পুরতেন—তখন ভারতের মুখে ছিল নিস্তব্ধতা। তখন গণতন্ত্র রক্ষার নামে কোনো বিবৃতি দেয়নি দিল্লি। অথচ এখন সেই দিল্লিই সংস্কারবিহীন নির্বাচনের ডাক দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি বহুমাত্রিক প্রোপাগান্ডা। ভারত চায় তার স্বার্থরক্ষাকারী সরকার আবারো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হোক, গণতন্ত্র নয়।
এই প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি জাপানে আয়োজিত *নিক্কেই ফোরামে* বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি স্পষ্টভাবে জানান—ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংলাপের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনে আরও ৬ মাস সময় বাড়ানো হতে পারে। সর্বোচ্চ আগামী জুন ২০২৬ এর মধ্যে নির্বাচন শেষ করা হবে।
তিনি বলেন: “আমি রাজনীতিবিদ নই, আমার কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা নেই। আমার একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।”
ড. ইউনুস আরও বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য তাড়াহুড়া নয় বরং প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ নির্বাচন আয়োজনই এখন সবচেয়ে জরুরি। অংশগ্রহণমূলক, বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি ভোটই হতে হবে ভবিষ্যতের ভিত্তি।
প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গেও তিনি বলেন—এশিয়াকে শূন্য সমষ্টিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সামনে এগোতে হবে। তিনি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় দুই দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানান।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ৩টি শর্তে সিদ্ধান্ত বদলালেন ড. ইউনূস
- সৌদি আরব ও বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা
- আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যু নিয়ে গুজব: জানা গেল প্রকৃত সত্য
- ২১০ জন হজযাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
- বাংলাদেশে ২০০ টাকায় স্টারলিংক ইন্টারনেট ব্যবহার—বাস্তবতা কতটা
- বাংলাদেশে কোন রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- ঢাকায় ল্যান্ডের সময় ৬ বারেও ব্যর্থ পাইলট, তারপর যা ঘটলো
- ২০২৫-২৬ বাজেটে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা যতটা বাড়বে
- রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে দায়িত্বে অটল ড. ইউনূস: উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক
- বাংলাদেশে আরো একবার এক-এগারোর আভাস
- আজকের সোনার দাম: কত পড়ছে এক ভরি
- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি', প্রস্তুত ভোলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র
- আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ৬ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
- আসিফ নজরুল কি সত্যিই বলেছেন, ‘ভুল করেছি আ.লীগ নিষিদ্ধ করে’