২০২৫-২৬ বাজেটে দ্বিগুণ হচ্ছে ভ্যাট: এসি-ফ্রিজ, প্লাস্টিকের দাম বাড়বে নতুন বাজেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্লাস্টিক পণ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) ও রেফ্রিজারেটরের ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। বর্তমানে এসব পণ্যে ৭.৫ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে, যা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী মাটির ও পাতা দিয়ে তৈরি পণ্যগুলোতে বরং ভ্যাট অব্যাহতির চিন্তা করা হচ্ছে, যেখানে এখন ১৫ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান।
বিশ্লেষকদের মতে, ভ্যাট দ্বিগুণ হলে এসব প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর। একইসঙ্গে কমে যেতে পারে বিক্রি ও উৎপাদন, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংশ্লিষ্ট শিল্প খাত ও রপ্তানি আয়।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) জানায়, দেশে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক বাজার রয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় শতভাগই মেটাচ্ছে দেশীয় উৎপাদনকারীরা। বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি যুক্ত এই শিল্পের সঙ্গে।
বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, “ভ্যাট বাড়ালে প্লাস্টিকের দাম বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। ফেরিওয়ালা থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবাই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
তিনি আরও জানান, “ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক মন্দা, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা প্রায় ২০ শতাংশ পিছিয়ে আছি। এর মধ্যে আবার ভ্যাট দ্বিগুণ হলে উৎপাদন ব্যাহত হবে ও রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
ইলেকট্রনিকস শিল্পের উদ্যোক্তারাও এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইলেক্ট্রোমার্টের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আফসার বলেন, “ভ্যাট দ্বিগুণ হলে এসির দাম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ও ফ্রিজের দাম ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।”
তার মতে, “এই খাত মাত্রই বিকাশের পথে এগোচ্ছে। রপ্তানি বাড়ছে। এখন ভ্যাট বাড়ানো হলে সেটি শিল্পকে বড় ধাক্কার মুখে ফেলবে।”
এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, “এই খাতগুলো এখন শক্তিশালী। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে দেশীয় ফ্রিজ ও এসি পৌঁছে গেছে। আমদানি নির্ভরতা নেই। তাই তাদের আর করছাড় বা ভ্যাট সুবিধার প্রয়োজন নেই।”
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, সরকার বিকল্প খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের পথ খুঁজলে ভালো হতো, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে করছাড় উপভোগ করা শিল্প রয়েছে।
অন্যদিকে সুপারি, হোগলা পাতা ও মাটির তৈজসপত্রের ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের চিন্তা করছে সরকার। এ ধরনের পণ্য প্রস্তুতকারীরা বলছেন, এটি পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় দিন দিন চাহিদা বাড়ছে।
দেশীয় বিশ্রুতি ব্র্যান্ডের কর্ণধার আল মাহাদী জানান, “সুপারি পাতার খোল দিয়ে ২০ ধরনের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। ভ্যাট ছাড় এ শিল্পে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করবে।”
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- ৭টি অভ্যাস আপনাকে কখনোই ধনী হতে দেবে না!
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- এবার ইসরায়েল খালি করার নির্দেশ
- ট্রাম্পের হুমকির পর অবিশ্বাস্য এক ঘোষণা দিলেন খামেনি