ছিল না পালস মৃত্যুর মুখ থেকে যেভাবে ফিরে এলেন তামিম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল আজ (তারিখ) সকালে এক গুরুতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। সকালেই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন, ম্যাচ শুরুর আগে প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের সঙ্গে টস করেন এবং টসের পর কিছুক্ষণ কথাও বলেন। তবে কিছু সময় পরেই পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
টসের পর ড্রেসিং রুমে ফেরার কিছুক্ষণ পর তামিম বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। প্রথমে বিষয়টি সাধারণ মনে হলেও খুব দ্রুত তা গুরুতর হয়ে ওঠে। দলের ফিজিও তাকে পরীক্ষা করে দেখেন এবং দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। মাঠে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে পৌঁছানোর পর প্রথমে কিছু পরীক্ষা করা হয়। ইসিজি (ECG) ভালো হলেও আরেকটি পরীক্ষায় তামিমের হৃদপিণ্ডে সমস্যা হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিছু সময় তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়, তিনি কথা বলছিলেন, তবে হঠাৎ তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।
এই অবস্থায় তাকে ঢাকায় হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু হেলিকপ্টারে স্থানান্তরের সময় তামিম পুরোপুরি অচেতন হয়ে পড়েন। তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে এবং পালস পাওয়া যাচ্ছিল না।
অতিশীঘ্রই চিকিৎসকরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্থানীয় হাসপাতালেই তাকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ দীর্ঘ ভ্রমণ তার জীবনকে আরও বিপদে ফেলতে পারত। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।
হাসপাতালে ফিরে তামিমকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর তৎক্ষণাৎ এনজিওগ্রাম করা হয়, এবং সেখানে দেখা যায় তার দুটি আর্টারি ব্লক হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে স্টেন্ট (রিং) পরানো হয়।
কয়েক ঘণ্টার চিকিৎসার পর অবশেষে তামিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হতে শুরু করে। বর্তমানে তিনি সিসিইউতে (CCU) চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার পর তামিমের স্ত্রী দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান এবং এখনো তার পাশে রয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নজরদারি করছেন। তামিমের সাবেক ও বর্তমান সতীর্থরা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।
বর্তমানে তামিম ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। তিনি কিছু কথা বলতে পারছেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
তামিমের পূর্বে কোনো হৃদরোগ ছিল কিনা, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শারীরিক পরিশ্রম, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বা অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
শুধু দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং চিকিৎসার কারণে তামিমের জীবন রক্ষা পেয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, দলের ফিজিও, এবং সতীর্থদের দ্রুত পদক্ষেপই তাকে মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এটি আবারও প্রমাণ করেছে, খেলোয়াড়দের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তামিমের ভক্তরা এখন তার দ্রুত সুস্থতার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই অভিজ্ঞ তারকা সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা, তা সময়ই বলবে।
রুনা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১২ দেশের নাগরিকদের আজীবন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ
- আবারও কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- আবদুল হামিদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আজ দেশের বাজারে ১ ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- এই ৪টি আলামত থাকলে বুঝে নিন — আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন!
- ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা: কোন গ্রেডে কত পাবেন
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১-৩ লক্ষ টাকা রাখলে মাসিক কত লাভ পাবেন
- বাংলাদেশের হার, এশিয়াকাপের কোন সমীকরণে বাংলাদেশ
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাবেন যেসব দেশে