চুল পড়ছে অল্প বয়সেই, উপকার পাবেন এই ৪ ফলে

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই চুল পড়া নিয়ে সচেতন থাকেন। তবে, চুল পড়ার পেছনে নানা কারণ থাকে এবং আমরা চুল পড়া রোধে বিভিন্ন ধরনের উপায় অনুসরণ করি। অনেকেই অনলাইন থেকে বিভিন্ন পণ্য কিনে থাকেন, কিন্তু সেগুলোর প্রভাব অনেক সময় হয় না, বরং ত্বক ও চুলের আরও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আর কিছু মানুষ অল্প বয়সেই চুল হারিয়ে ফেলেন বা টাক হয়ে যান।
প্রাকৃতিক উপায়েই চুল পড়া রোধ করা সম্ভব। এর জন্য প্রথমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে তা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন সরবরাহ করবে এবং চুলের জন্যও বেশ উপকারী হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এমন কিছু ফলের কথা জানানো হয়েছে। চলুন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
১. অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোকে বলা হয় সুপারফুড। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং চুলের ফলিকল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা বায়োটিন এবং ভিটামিন বি চুলের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বায়োটিন কেরাটিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা চুল, ত্বক এবং নখের গঠন তৈরি করে। ভিটামিন ই এবং সি চুলের জন্য শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং মাথার ত্বক ও চুলকে অক্সিডেটিভ চাপ থেকে রক্ষা করে। এটি চুলের শুষ্কতা, ভেঙে যাওয়া এবং পাতলা হওয়া রোধে সাহায্য করে।
২. বেরি জাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাম্পবেরি এসব বেরি ফলগুলো ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এই ফলগুলো চুলের জন্য খুব উপকারী। বিশেষত, এতে থাকা ভিটামিন সি চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন, যা চুলের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। বেরি ফলগুলোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলকে সুরক্ষিত রাখে এবং চুল পড়ার কারণ হিসেবে কাজ করা ফ্রি র্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে।
৩. পেঁপে: পেঁপে চুলের বৃদ্ধির জন্য একটি সহজ এবং শক্তিশালী ফল। এতে ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, যা সিবাম উৎপাদনে সাহায্য করে। সিবাম হলো একটি প্রাকৃতিক তেল, যা মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং চুলকে হাইড্রেটেড রাখে। শুষ্ক এবং খসখসে মাথার ত্বক চুলের ভাঙা ও বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। পেঁপে ভিটামিন এ ছাড়াও ফোলেট, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা চুলের ফলিকলগুলোকে উদ্দীপ্ত এবং শক্তিশালী করে।
৪. কমলালেবু: কমলালেবুতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেক বেশি, যা কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কমলালেবুর উচ্চ ভিটামিন সি চুলকে শক্তিশালী করে এবং চুলের গোড়া ভেঙে যাওয়া রোধে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে চুলকে রক্ষা করে। এর প্রাকৃতিক হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, ফলে চুলের শুষ্কতা এবং পচন রোধ হয়।
প্রতিদিন ফল খাওয়া চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এসব ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা কোলাজেন উৎপাদন উন্নত করে এবং চুলের ফলিকলের অক্সিডেটিভ ক্ষতি কমায়। ফ্যাটি অ্যাসিড এবং বিভিন্ন ভিটামিন উপাদান চুলকে শক্তিশালী এবং বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে। সুতরাং, সঠিক ফল খাবার মাধ্যমে আপনি আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১২ দেশের নাগরিকদের আজীবন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ
- আবারও কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- আবদুল হামিদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আজ দেশের বাজারে ১ ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- এই ৪টি আলামত থাকলে বুঝে নিন — আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন!
- ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা: কোন গ্রেডে কত পাবেন
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১-৩ লক্ষ টাকা রাখলে মাসিক কত লাভ পাবেন
- বাংলাদেশের হার, এশিয়াকাপের কোন সমীকরণে বাংলাদেশ
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাবেন যেসব দেশে