২০৩০ সালের মধ্যে চরম জলবায়ু ঝুঁকির কেন্দ্রে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলো বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হবে। বিশেষত বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানকে এর ভয়াবহ প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ঝুঁকি থেকে স্থিতিস্থাপকতা: দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের অভিযোজনে সহায়তা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
৯০ শতাংশ মানুষ চরম ঝুঁকিতে:
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ চরম জলবায়ু ঝুঁকির মুখে পড়বে। উচ্চ তাপমাত্রা, ভয়াবহ বন্যা এবং উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধির সম্মিলিত প্রভাবে গ্রামীণ অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ পরিবার ও প্রতিষ্ঠান আগামী ১০ বছরে আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের আশঙ্কা করছে। জরিপে দেখা গেছে, আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে বেশিরভাগ পরিবার উন্নত প্রযুক্তির বদলে কম খরচের সাধারণ অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
উপকূলে প্রধান চ্যালেঞ্জ অবকাঠামো ও অর্থায়ন:
বাংলাদেশের উপকূলের ২৫০টি গ্রামে পরিচালিত জরিপ থেকে জানা যায়, পর্যাপ্ত জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামোই এখন সবচেয়ে বড় অপূর্ণ চাহিদা।
* দীর্ঘমেয়াদে ৫৭ শতাংশ পরিবার পর্যাপ্ত দুর্যোগ-সুরক্ষা অবকাঠামোর অভাবকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
* ৫৬ শতাংশ পরিবার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে প্রয়োজনীয় অভিযোজন করতে পারছে না।
সমাধানে প্রয়োজন সমন্বিত নীতি-প্যাকেজ:
বিশ্বব্যাংক মনে করে, বাংলাদেশের বাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টারের মতো সরকারি বিনিয়োগ বহু প্রাণ বাঁচালেও, ঝুঁকির দ্রুত বৃদ্ধি মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। আর্থিক সংকটের কারণে সরকারি উদ্যোগের পরিধি সীমিত হওয়ায় জলবায়ু অভিযোজনে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করে একটি সমন্বিত নীতি-প্যাকেজ তৈরি করা জরুরি।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসমে বলেন, "বাংলাদেশের জলবায়ু সহনশীলতা বারবার পরীক্ষিত হচ্ছে, কিন্তু ঝুঁকিও দ্রুত বাড়ছে। দেশের সহনশীলতা গড়ে তুলতে আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি এবং ঝুঁকিভিত্তিক অর্থায়ন বাড়াতে হবে।"
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা, বীমা এবং আনুষ্ঠানিক ঋণপ্রাপ্তি সহজ করা গেলে জলবায়ুজনিত ক্ষতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই এড়ানো সম্ভব। বেসরকারি খাতের দ্রুত বিনিয়োগ ও সম্পদ স্থানান্তর নিশ্চিত করা গেলে অভিযোজনের গতি আরও বাড়বে।
আয়শা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে বড় পরিবর্তন: ১২ গ্রেড, সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার
- বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন ৩০ জন
- ফেব্রুয়ারির আগে পে স্কেল সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা যা বললেন
- ৩ টি লক্ষণ থাকলে কখনো সন্তান হবে না
- পে স্কেল নিয়ে পে কমিশন থেকে বড় দুঃসংবাদ
- সূর্য ডোবার পর আর উঠবে না ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত!
- মনোনয়ন বিদ্রোহ: ৪০ আসনে প্রার্থী বদলাচ্ছে বিএনপি!
- বাংলাদেশের ভূমিকম্পের রেড জোন যেসব এলাকা
- নতুন পে স্কেল কার্যকর কবে! বৈঠকে সচিবদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
- মুঠোফোনে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা চালু করুন এক ক্লিকে
- নরসিংদীর মাধবদী যে কারনে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্র হলো
- সচিবদের সঙ্গে পে কমিশনের বৈঠক শেষ, মিললো সুখবর
- রাইজিং স্টারস ফাইনাল: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, যেভাবে দেখবেন
- পে-স্কেল: ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে বাস্তবায়ন, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকার দাবি
- আজকের সোনার বাজারদর: ২৪ নভেম্বর ২০২৫
