সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
সাত বছরের বিরতির পর চূড়ান্ত ভাবে বাজারে ফিরছে সিটিসেল
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল (প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড - পিবিটিএল) দীর্ঘ সাত বছরের আইনি ও বাণিজ্যিক বিরতি শেষে অবশেষে চূড়ান্তভাবে বাজারে ফিরতে চলেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার অভিযোগের পর লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দ ফেরত পাওয়ায় কোম্পানিটি আগামী মাস অর্থাৎ নভেম্বর থেকেই বাণিজ্যিক যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নতুন যাত্রায় সিটিসেল তাদের পুরনো সিডিএমএ প্রযুক্তি বাদ দিয়ে আধুনিক জিএসএমএ (GSMA) প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, যা এটিকে যেকোনো মোবাইল বা স্মার্টফোনে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলবে। কোম্পানিটি সর্বনিম্ন কল রেট এবং মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ দিয়ে গ্রাহকদের মাঝে দ্রুত জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
বন্ধ হওয়ার কারণ: রাজনৈতিক বিতর্ক ও আইনি সমাধান
২০১৬ সালে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পেছনে কোম্পানিটি বরাবরই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, বিএনপির সাবেক সিনিয়র নেতা মোরশেদ খানের পরিবারের সংশ্লিষ্টতা থাকার 'অজুহাতে' বিটিআরসি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছিল।
* কোম্পানির অভিযোগ: সিটিসেল দাবি করে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নিলেও মালিকানায় ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের ব্যক্তির অংশ থাকার কারণে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
* বকেয়ার সমাধান: প্রাথমিকভাবে বিটিআরসি ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা বকেয়া দাবি করলেও, আইনি প্রক্রিয়ার পর সিটিসেল ২৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে। সর্বশেষ আদালতের তদন্ত কমিটি নির্ধারণ করে যে তরঙ্গ কম দেওয়ার কারণে সরকারের মোট প্রাপ্য বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৮ কোটি টাকা।
পিবিটিএল এর হেড অফ রেগুলেটরি ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, নিশাদ আলী খান, এক সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন যে ক্ষমতা অপব্যবহার করে তাদের নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হয়েছিল এবং লাইসেন্স ফিরে পাওয়ায় তারা অত্যন্ত আশাবাদী।
ফাইভজি প্রযুক্তি ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
নিশাদ আলী খান জানান, সিটিসেল এখন জিএসএমএ ৪জি এবং ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক সেবায় ফিরবে এবং স্বল্প লাভে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
তবে হঠাৎ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১,০০০ এরও বেশি কর্মচারী বেকার হয়েছিলেন এবং ২ লাখ মানুষ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, গ্রাহক সেবায় ফিরতে কোম্পানিটিকে অবকাঠামোগত অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সিটিসেল বেসরকারি খাতে একমাত্র দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাজারে ফিরলে তা গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে সহায়ক একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু করে সিটিসেল ১৯৯৩ সালে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড নামে ব্র্যান্ডিং শুরু করে এবং এটিই ছিল দেশের মানুষের জন্য প্রথম মোবাইল ফোন সেবা।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে-স্কেল চূড়ান্তের পথে: সর্বনিম্ন বেতন ও গ্রেড নিয়ে যা জানা গেলো
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর
- নবম বেতন কাঠামো আসছে ৩ ধাপে, সুবিধা শুরু ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে
- এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা
- নবম পে স্কেল: পর্দার আড়ালে উচ্চপর্যায়ের তৎপরতা, চূড়ান্ত কাঠামো নিয়ে গোপন প্রস্তুতি
- পে স্কেল ডেডলাইন শেষ, কর্মচারীদের আন্দোলন নিয়ে যা বলছে কমিশন
- সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
- বিমানবন্দরে তারেক রহমানের ভিডিও, যা জানা গেল
- পে-স্কেল চূড়ান্তের পথে: 'আকাশচুম্বী নয়, বাস্তবসম্মত বেতন কাঠামো'র সুপারিশ
- ব্রাজিল বনাম বাংলাদেশ: লাতিন বাংলা সুপার কাপের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ঘোষণা
- মধ্যরাতে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ
- আজকের সোনার বাজারদর: ২ ডিসেম্বর ২০২৫
- ৭০ সচিবের মতামত চূড়ান্ত: নবম পে-স্কেলের সুপারিশ আসছে ডিসেম্বরে
- পে স্কেলে ৭০ সচিবের চরম ‘বিরোধিতা’; যা জানা গেল
- আগামী ৫ দিন কেমন থাকবে, মঙ্গলবার থেকে বাড়বে শীত
