৩৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইরানের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সরঞ্জাম সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একসঙ্গে ২১টি প্রতিষ্ঠান এবং ১৭ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গতকাল বুধবার (১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (OFAC) এই ঘোষণা দিয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলো জাতিসংঘের বিতর্কিত 'স্ন্যাপব্যাক' (Snapback) ব্যবস্থার অধীনে নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা কার্যকরের পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার ঘটনা।
যেসব নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো
মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এই নেটওয়ার্কগুলো গোপনে ইরানের সামরিক প্রযুক্তি সংগ্রহ ও সরবরাহ করছিল:
* ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি: ইরানের শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়া দুটি প্রধান প্রতিষ্ঠান—"Aerospace Industries Organization (AIO)" এবং "Shahid Bakeri Industrial Group (SBIG)"-এর সঙ্গে যুক্ত বিস্তৃত নেটওয়ার্ক।
* ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহ: ইরান, হংকং ও চীনে সক্রিয় একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, যারা মার্কিন উৎপাদিত ইলেকট্রনিক পণ্য শিরাজ ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিজ-এর কাছে সরবরাহ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেম তৈরি করে।
* হেলিকপ্টার যন্ত্রাংশ: ইরান, জার্মানি, তুরস্ক, পর্তুগাল ও উরুগুয়ে জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি নেটওয়ার্ক, যারা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) ব্যবহৃত হেলিকপ্টার সার্ভিসিং কোম্পানির জন্য যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করেছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কী হবে
OFAC জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে:
১. সম্পদ জব্দ: যুক্তরাষ্ট্রের এখতিয়ারাধীন এলাকায় উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সব ধরনের সম্পদ জব্দ করা হবে।
২. লেনদেনে বাধা: মার্কিন নাগরিকরা তালিকাভুক্তদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না।
৩. দ্বিতীয় পর্যায়ের ঝুঁকি: বিদেশি ব্যাংকগুলো যদি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের সঙ্গে বড় ধরনের লেনদেন করে, তবে তারাও দ্বিতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।
'স্ন্যাপব্যাক' ব্যবস্থা কী
'স্ন্যাপব্যাক' হলো সেই ব্যবস্থাপনা, যার মাধ্যমে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো পূর্বে স্থগিত রাখা নিষেধাজ্ঞা আবার কার্যকর করতে পারে। ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA)-এর আওতায় এই নিষেধাজ্ঞাগুলো স্থগিত করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন চুক্তি থেকে সরে আসার পর এই ব্যবস্থা আবার জোরদার হয়।
বিশ্লেষকদের ধারণা, এই পদক্ষেপ ইরানের প্রতিরক্ষা খাতকে তীব্র চাপের মুখে ফেলবে এবং চীন, তুরস্ক, জার্মানি প্রভৃতি দেশগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে। ইরান এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সেলিম/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- অবশেষে নতুন পে-স্কেল নিয়ে 'সুখবর'
- আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ: ব্রাজিল বনাম সেনেগাল, যেভাবে দেখবেন
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে স্কেল হচ্ছে না—কেন দরকার ছিল, কোথায় সমস্যা
- ফের কমেছে সোনার দাম, ভরি কত
- পে-স্কেল: সনাতনী পদ্ধতির বদলে সিটিজি ও পারফরম্যান্সভিত্তিক বেতন কেন জরুরি
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ২১ ক্যারেট সোনার দাম
- আইপিএল ২০২৬: মুস্তাফিজকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি ক্যাপিটালস
- আগামীকাল গণপরিবহন চলবে কিনা, যা জানা গেল
- একটু পর মাঠে নামবে ব্রাজিল বনাম সেনেগাল, যেভাবে দেখবেন
- দেশের বাজারে লাফিয়ে কমলো সোনার দাম
- সারাদেশে শীতের মাঝেই বৃষ্টির আভাস
- বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- আইপিএল ২০২৬: ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
