
সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
আরাকান আর্মির মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ, দলে দলে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের নতুন করে অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাখাইন রাজ্যের আরাকান আর্মির তীব্র নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সেনাদের তুলনায় আরও বেশি নৃশংসতা চালাচ্ছে। ফলে, কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে নতুন রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিজিবি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী জানাচ্ছে, তারা বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় রয়েছে। কক্সবাজার থেকে মনিরুল ইসলামের প্রতিবেদন এবং আলামিন তালুকদারের ক্যামেরায় ধারণ করা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
রাখাইনের বংডু অঞ্চলের বুড়া শিকদারপাড়া গ্রামে এক মে মাসের বিকেলের দৃশ্য এটি। রোহিঙ্গাদের এলাকা ত্যাগ করতে, আরাকান আর্মি সদস্যরা অবিরাম গুলি বর্ষণ করছে। পালিয়ে আসা স্থানীয়রা জানান, ওই দিন অন্তত ৬০ জনকে গুলি করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কক্সবাজারের রুখিয়া বালুখালির পাঁচ নম্বর ক্যাম্পে, এমন আরো অনেক রোহিঙ্গা সম্প্রতি আশ্রয় নিয়েছে। এক রোহিঙ্গা, মোহাম্মদ আলী, জানান যে তিনি এপ্রিল মাসের শুরুতে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। আরাকান আর্মি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর, রোহিঙ্গা নিধন বেড়েছে এবং তাণ্ডবও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, “আধিকার ও অধিকার কেড়ে নেওয়া, ঘরবাড়ি পোড়ানো, বাচ্চাদের অমানবিক নির্যাতন — এরকম নৃশংসতার শিকার হচ্ছি আমরা।” আরও অনেক রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, বিশেষ করে তরুণী ও তরুণদের জিম্মি করে দাসদাসী হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে, তাছাড়া বাড়িঘরও পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, আরাকান আর্মি, নির্যাতনের পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলে মাদক চোরাচালানেও জড়িত। তারা মিয়ানমারের দিকে চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি জানাচ্ছে, সীমান্তে তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকলে, তাঁদের পুনঃবাসন কঠিন হয়ে উঠবে। একদিকে, সেখানে মানবিক সংকট তীব্রতর হতে পারে।
বর্তমানে কক্সবাজারে দুই বছর ধরে শরণার্থী ক্যাম্পের পরিধি বাড়েনি, তবে স্থানীয় সূত্র মতে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে ১ লাখ ১৩ হাজার ০০০ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে, গত বছরের মে ও জুন মাসে তাদের প্রবাহ ছিল সবচেয়ে বেশি। রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য ক্যাম্পে জায়গা সংকট দেখা দিচ্ছে এবং এসব রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়দানের স্থান কমে যাচ্ছে।
স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৫০০-র বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, যা সীমান্তে আরো চাপ সৃষ্টি করছে।
কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে, মিয়ানমারের সীমান্তে চোখ রাখলে এখনও স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, রোহিঙ্গাদের গ্রাম ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন দৃশ্য প্রতিদিন অবলোকন করা যাচ্ছে। আরাকান আর্মি শুধু ঘরবাড়ি পুড়াচ্ছে না, তারা বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
বর্তমানে, মাদকের সিন্ডিকেট আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং সীমান্তের এপার-ওপার সংঘাত আরও গভীর হতে পারে। তবে, বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনী এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- স্বর্ণের বাজারে বড় ধাক্কা, লাফিয়ে কমছে দাম
- আজ দেশের বাজারে এক ভরি সোনার দাম
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক