নরেন্দ্র মোদির চেয়ে কেন প্রফেসর ইউনূস বড় খেলোয়াড়
 
								নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার রাত নিস্তব্ধ, দূরে বুড়িগঙ্গার জলে চাঁদের আলো ঝিকমিক করছে, কিন্তু একটি গোপন কক্ষে উত্তেজনা থেমে নেই। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস টেবিলে বসে আছেন, হাতে একটি পুরনো কাগজ, চোখে এক জাতির আকাঙ্ক্ষা। এই মানুষটি, যিনি একদিন নোবেল পুরস্কার পেয়ে বিশ্বকে দারিদ্র্য নির্মূলের পথ দেখিয়েছিলেন, আজ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এক নতুন কূটনৈতিক চাল দিয়েছেন।
দিল্লির প্রাসাদে নরেন্দ্র মোদির কপালে ভাজ। তার পালিত গদি মিডিয়া একসময় ইউনূসকে নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা করেছিল, কিন্তু আজ মোদিরই দরজায় এসে দাঁড়াতে হয়েছে। নোবেলজয়ী এই প্রফেসরের কূটনীতির সামনে মোদি যেন অসহায়। যেই বাংলাদেশকে একদিন তুচ্ছ হিসেবে দেখা হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ এখন মোদিকে পা রাখতে বাধ্য করছে, আর ইউনূসের সামনে বসে তার কথা শুনতে হচ্ছে। কারণ, বিমস্টেকের নতুন চেয়ারম্যান এখন ইউনূস।
এটা কি শুধু একটি কূটনৈতিক নাটক, নাকি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন খেলোয়াড়ের আগমন? দিন যত এগোচ্ছে, ডক্টর ইউনূসের প্রভাব বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি মোদির সঙ্গে তার বৈঠকই এর বড় প্রমাণ। প্রথমে এই সাক্ষাৎ নিয়ে মোদির ঘনিষ্ঠ মিডিয়া দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, ইউনূসকে নিয়ে গা গরম করেছিল। তারা বলেছিল, একজন অর্থনীতিবিদ দেশ চালাতে পারেন না, হাসিনার পর বাংলাদেশ ভেঙে পড়বে। কিন্তু শেষমেশ সেই মোদিকেই ইউনূসের পাশে বসতে হলো।
এই বৈঠক ছিল বাংলাদেশের নতুন শক্তির স্পষ্ট ইঙ্গিত। এখন বড় খবর হলো, মোদিকে বাংলাদেশে আসতে হবে। বিমস্টেকের চেয়ারম্যানশিপ বাংলাদেশে এসেছে, এবং আগামী এপ্রিলে ঢাকায় পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনূস তখন দায়িত্বে থাকুক বা নতুন সরকার আসুক, মোদির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। তিনি ইউনূসের সঙ্গে মুখোমুখি বসে তার পরিকল্পনা শুনতে হবে, কারণ এখন এই আঞ্চলিক জোটের নেতা ইউনূস।
ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নতুন কিছু নয়। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি দারিদ্র্য নির্মূলের প্রতীক হয়ে ওঠেন। তবে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রমাণ করেছেন, তিনি শুধু অর্থনীতিবিদই নন, একজন দক্ষ কূটনীতিকও। আট বছর ধরে সমাধানহীন রোহিঙ্গা সংকটকে তিনি মাত্র আট মাসে একটি সমাধানের দিকে নিয়ে গেছেন। চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বিমস্টেকের নেতৃত্ব গ্রহণ করে, তিনি বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
এখন দুই বছর ধরে বিমস্টেকের দায়িত্ব বাংলাদেশে, এবং সম্মেলনে বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হচ্ছে। ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি এই জোটকে নতুন গতি দিয়েছে।
মোদির ঘনিষ্ঠ মহল একসময় মনে করেছিল, হাসিনার পর বাংলাদেশ দুর্বল হয়ে যাবে। কিন্তু ইউনূসের কূটনীতি সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। মোদি, ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুঝেছেন, এই বাংলাদেশ আর ভারতের ছায়ায় থাকবে না। মোদির কথায়, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এটা ইউনূসের নেতৃত্বের প্রতি এক স্বীকৃতি। বিমস্টেকের চেয়ারম্যানশিপ এই অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করেছে।
এপ্রিলের বিমস্টেক সম্মেলনে মোদিকে ঢাকায় আসতে হবে, এটি তার জন্য অপরিহার্য সফর। হাসিনার আমলে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন একজন প্রভাবশালী মিত্র হিসেবে, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র পথ অনুসরণ করছে, এবং মোদিকে এখন তার পরিকল্পনা শুনতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূসের কৌশল মোদিকে চাপে ফেলেছে। বিমস্টেকের নেতৃত্ব ভারতের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করেছে। জাপান সফরের সম্ভাবনাও আলোচনায় রয়েছে, যা সফল হলে বাংলাদেশের প্রভাব আরো বাড়বে।
ইউনূসের হাতে বাংলাদেশ নতুন দিশা পেয়েছে—রোহিঙ্গা সংকটে অগ্রগতি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য এবং বিমস্টেকের নেতৃত্ব। এসবই তার দক্ষতার প্রমাণ। তিনি শুধু একজন অর্থনীতিবিদই নন, বরং একজন দূরদর্শী নেতা, যার পরিকল্পনা বাণিজ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছে।
মোদির মিডিয়া একসময় ইউনূসকে নিয়ে হাসাহাসি করেছিল, কিন্তু এখন তারা নিশ্চুপ। ইউনূসের সামনে মোদির অসহায়তা স্পষ্ট। বিমস্টেকের ভূমিকা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন শক্তির জন্ম দিয়েছে।
ঢাকার সেই গোপন কক্ষে আলো নিভে গেছে, কিন্তু ইউনূসের চোখে জ্বলছে একটি স্বপ্ন—একটি শক্তিশালী, স্বনির্ভর বাংলাদেশ। তার পেছনে জনগণের সমর্থন, তার হাতে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা। মোদি যখন ঢাকার মাটিতে পা রাখবেন, তিনি দেখবেন, এই বাংলাদেশ আর আগের মতো নেই। একদিন যাকে তুচ্ছ মনে করা হয়েছিল, সেই ইউনূসের সামনে আজ মোদি অসহায়।
ইতিহাসের পাতায় কি লেখা হবে তা সময় বলে দেবে, কিন্তু একথা স্পষ্ট—নোবেলজয়ী ইউনূসের কূটনীতির সামনে মোদির চিৎকার করা, এখন নিঃশব্দে হারিয়ে গেছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- জাহান্নামমুখী ব্যাক্তির দুই রোগ লেগেই থাকে
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- যে চাকরি পাচ্ছেন বিয়ারিং পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- চূড়ান্ত হলো পে-স্কেল ঘোষণার সময়: ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ
- নতুন পে-স্কেল: বেতন বাড়লেও বাড়ছে কর ও বাড়িভাড়া!
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর

 গুগল নিউজ ফলো করুন
        গুগল নিউজ ফলো করুন
     
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
                     
                     
                    