হাসনাতের স্ট্যাটাসে উত্তপ্ত রাজনীতি ভারতের ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক: এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাতের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর পুরো দেশেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ৫ আগস্টের পর যখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠেছিল, তখন হাসনাত দাবি করেছেন যে, দলটিকে পুনর্বাসনের জন্য একটি ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছে। তার মতে, আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টার মধ্যে ভারতও যুক্ত রয়েছে এবং এর সাথে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও জড়িত। এরই মধ্যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা।
এদিকে, "গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ" নামক নতুন প্লাটফর্মটি আত্মপ্রকাশ করেছে এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। মোহাম্মদ বিশেষের রিপোর্টে বিস্তারিত জানানো হয় যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে হলে যদি কেউ অপরাধ না করে, ছাত্র হত্যা না করে, অর্থ লুটপাট না করে এবং টাকা পাচার না করে, তাহলে সেই লোককেই রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত।
এই অবস্থার মধ্যে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট কমফর্ট ইউরোর সাথে বৈঠকে জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কোন পরিকল্পনা নেই। তার ওই সাক্ষাৎকারটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর হাসনাত রাতেই একটি স্ট্যাটাস দেন এবং দাবী করেন যে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। তার মতে, ভারত এই ষড়যন্ত্রের মূল ভাগে রয়েছে এবং এর নেতৃত্বে আছেন সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং ফজলে নূর তাপস।
এরপর রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও বিক্ষোভ হতে থাকে। সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান এবং বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী তাদের বক্তব্য দেন। শফিকুর রহমান বলেন, "ফ্যাসিস্টদের ফিরে আসা জনগণ মেনে নেবে না," এবং রিজভী বলেন, "বিচার শেষে যদি জনগণ চায়, আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে পারবে, তবে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার থাকবে না।"
এদিকে, নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে, যাতে দু'জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
হাসনাতের পোস্টের পর, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন, "আওয়ামী লীগ কার্যত ৫ আগস্ট নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।"
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য
- এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি কর্মজীবনে সুখের ছোঁয়া