১৪৬-৪৭ কিমি গতির নতুন বোলার পেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫ শুরু হয়েছে, এবং গত দুই ম্যাচে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। গত ম্যাচে তিনি চারটি উইকেট নেন, এবং আজকের ম্যাচে পেয়েছেন তিনটি উইকেট। তবে, তার বোলিংয়ের ইম্প্যাক্ট উইকেটের সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি ছিল। মৃত্যুঞ্জয়ের অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি দলকে ম্যাচ বের করে দিয়েছেন।
আজকের ম্যাচ শুরুর আগে, যখন আমি মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে দেখেছিলাম, আমি তাকে jokingly প্রশ্ন করেছিলাম, “আজ কয়টা উইকেট নিবে?” সে হাসি দিয়ে বলল, “গতকাল চারটা, আজ পাঁচটা নেবো।” তবে, ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মৃত্যুঞ্জয়ের বোলিং স্পেশালিটি হলো তার ক্রস সিমে বল ধরা। এই পদ্ধতিতে তিনি অতিরিক্ত বাউন্স ও স্কিড তৈরি করতে সক্ষম, যা খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং দক্ষতা দাবি করে।
এ বছর, মৃত্যুঞ্জয় ১৪৬-১৪৭ কিলোমিটার গতিতে বল করছেন, যা তার ইনজুরি পরবর্তী ফিটনেসের প্রমাণ। তিনি আগে থেকে জানতেন যে শরীর পুরোপুরি ঠিক না হলে আরও দ্রুত গতিতে বল করতে পারবেন না, কিন্তু বর্তমানে তার গতির উন্নতি হয়েছে, এবং তা মুগ্ধকর। মৃত্যুঞ্জয়ের বোলিংয়ে স্পিডের পাশাপাশি কৌশলও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা বিপিএলের মঞ্চে আরও উজ্জ্বল হয়েছে।
তিনি বর্তমানে বিপিএলে নতুন শক্তি হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এমন একজন বোলার, যিনি যদি নিয়মিত ম্যাচ খেলে যান, তবে আরও উন্নতি ঘটবে। আমি বিসিবিকে আহ্বান জানাই যে, মৃত্যুঞ্জয়কে জাতীয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারণ তার মধ্যে যথেষ্ট পেস এবং প্রতিভা রয়েছে, যেটি আরো বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বিষয়েও আলোচনা করেছেন বিশ্লেষকরা। সাইফুদ্দিন যে দলে খেলছেন, সেখানে তার ব্যাটিংয়ের সুযোগ অনেক কম। তবে, তার বোলিং দক্ষতা দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাইফুদ্দিনের বোলিং রোলই বেশি প্রাধান্য পায়, এবং বিপিএলসহ অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজি লিগে তার বোলিং পারফরম্যান্সের ওপর আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাইফুদ্দিনের বোলিং খুব কার্যকরী, তবে তার ব্যাটিংয়ের আরও ভালো সুযোগ থাকলে তার ক্রীড়া ক্যারিয়ার আরও বিকশিত হতে পারে।
যদিও সাইফুদ্দিনের জন্য ব্যাটিং এর সুযোগ কম, তিনি দলের প্রয়োজন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এবং বর্তমানে বিপিএলে নতুন যেসব খেলোয়াড় উঠে আসছে, তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে। এর মধ্যে, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং জাকির হাসানও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন, এবং তারা ভবিষ্যতে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে পারেন।
বিপিএল শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি নতুন প্রতিভা বের করার একটি মঞ্চ। বিসিবির উচিত এই নতুন প্রতিভাদের দিকে মনোযোগ দেওয়া, যেমন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, যিনি বিপিএলে ১৪৬-৪৭ গতির বোলার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করছেন।
এই বিপিএল, যদিও বেশ কিছু বিতর্ক ও সমস্যা সহ, তবুও একাধিক নতুন প্রতিভা ও ক্রিকেটারদের সামনে আনার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- জান্নাতি ব্যাক্তির ৩ টা রোগ লেগেই থাকে
- রেলগাড়ি থেকে ঝুলিয়ে ফেলে দেওয়া: ভাইরাল ভিডিওর নেপথ্যে কী ঘটেছিল
- দেশের বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মহার্ঘ ঘোষণা
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি চাকরিজীবীদের
- নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা আসছে, নিশ্চিত করলেন অর্থ উপদেষ্টা
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনা ও রূপার দাম
- বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে বন্যা, ডুবে যেতে পারে ৪ জেলা
- পরীমণির মৃত্যুর গুজব: সত্যিটা কী!
- যদি এই ৪টি আলামত থাকে, বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে খুব ভালোবাসেন
- ৯০ হাজার প্রাণ, ১৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি: পাকিস্তানের দাবি
- কোরবানীর ঈদ কবে, জানা গেল বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ও তারিখ
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- আছিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষণা: হিটু শেখের ফাঁসি
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হচ্ছে