কক্সবাজারের পাশে জন্ম হচ্ছে নতুন দেশ, নতুন সংকটে বাংলাদেশ!

বাংলাদেশ নতুন একটি ভূরাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। কক্সবাজার সীমান্তের ওপারে নতুন একটি রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশে বহুমুখী সংকট সৃষ্টি করতে পারে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এই নতুন রাষ্ট্রের আবির্ভাব বাংলাদেশে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আরিফ হাসান।
চলতি মাসেই মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে রাখাইনের ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। তাদের দাবি, খুব শীঘ্রই তারা স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে পারে। এর ফলে, রাখাইন রাজ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন দক্ষিণ এশিয়ার দিকে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভূরাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি করতে পারে।
জানা গেছে, রাখাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করার সম্ভাবনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছে আরাকান আর্মি। এদিকে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ শক্তিশালী দেশগুলোও বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে গভীর আলোচনা শুরু করেছে।
আরাকান আর্মি ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা তাদের স্বশাসনের অধিকারের দাবিতে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই শুরু করে। মাত্র দেড় দশকের মধ্যে তারা মিয়ানমারের বাহিনীকে পরাজিত করে রাখাইনের অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। রাখাইনের ভূগোল ও প্রাকৃতিক সম্পদ দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি দেশগুলোর জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চীন ও ভারতের জন্য রাখাইন একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যেখানে চীন গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তুলেছে, যা তাদের জন্য বঙ্গোপসাগরে প্রভাব বজায় রাখার একটি কৌশলগত কেন্দ্র। এই বন্দর থেকে চীনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে রাখাইন চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতও এখানে বিশাল বিনিয়োগ করেছে, বিশেষত কালাদান মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বাইপাস করে তাদের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্য রয়েছে।
নতুন রাষ্ট্র গঠিত হলে বাংলাদেশে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবরই ঠান্ডা, এবং রোহিঙ্গা ইস্যু, সমুদ্রসীমা বিরোধ, সীমান্ত লঙ্ঘন ইত্যাদি কারণে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত। বিশ্লেষকদের মতে, যদি রাখাইন স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে, তাহলে সীমান্তের ওপারে থাকা ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে, বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া, বাংলাদেশে আশ্রিত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনাও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এমন ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এবং সীমান্ত রক্ষা একটি বড় সংকটে পরিণত হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া