সেভেন সিস্টার নিয়ে বিশাল ঝুঁকিতে ভারত; বাংলাদেশের পাশে চীন

ভারত বর্তমানে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, কিন্তু এ সমস্যা থেকে বের হতে পারছে না। ফলে, তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। গত দুই মাস আগে, ভারতের অরুণাচল প্রদেশে চীন ৬০ কিলোমিটার এলাকা দখল করে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। এই ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই, ভারত আবার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এবার তারা বাংলাদেশকে অস্থির করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
সামরিক সূত্রে জানা গেছে, রংপুর ও লালমনিরহাটের মধ্যে ব্রিটিশদের তৈরি এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমান ঘাঁটি পুনরায় সক্রিয় করার কাজ শেষ পর্যায়ে। এই বিমান ঘাঁটি ভারতের চিকেন নেক থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর মাধ্যমে ভারতের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে, বিশেষত ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোর জন্য। এই সাতটি রাজ্য দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ভারতীয় পরিকল্পনা তাদের নিজেদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, কারণ সেভেন সিস্টার ইস্যুতে চীন যদি বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ায়, তবে ভারতের জন্য তা বড় সংকট বয়ে আনবে। ভারতীয় উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে দেশটির বাকি অংশের সংযোগস্থল চিকেন নেক, যা সংকীর্ণ ভূখণ্ডের মাধ্যমে চলে, সেখানকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে মণিপুর রাজ্যে স্বাধীনতার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন চলছে, যেখানে প্রতিদিন মৃত্যুর খবর আসছে। মণিপুরের জনগণ ভারতের সঙ্গে থাকতে চাইছে না, আর অরুণাচল প্রদেশেও অশান্তি বাড়ছে। ভারতের জন্য চারপাশ থেকে বিপদের সঙ্কেত আসছে, যা দেশটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, চীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার ইস্যুতে কাজ করছে, যা মোদী সরকারের জন্য এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এখন ভারতের চারপাশে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এমন সম্পর্ক ভারতের জন্য চরম সংকট তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ভারতকে সতর্ক করে দেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে, প্রতিবেশী মিয়ানমার এবং ভারতের সেভেন সিস্টারও শান্ত থাকবে না।”
সম্প্রতি, আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনার পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভারতকে হুঁশিয়ারি দেন। তারা বলেন, “যদি ভারত বাংলাদেশকে অস্থির করতে চায়, তবে বাংলাদেশ বসে থাকবে না।” তারা ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলিকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুমকি দেন।
গত ৫৩ বছর ধরে ভারত বাংলাদেশকে ভূ-রাজনীতির দাবার গুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে, তবে ড. ইউনূস সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর দিল্লির কপালে বিপদ দেখা দিয়েছে। মোদী প্রশাসন এখন আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া