উভয়ের মধ্যে দূরত্ব ১১৫০০ কিলোমিটারের বেশি। কিন্তু সৌম্য সরকার ও ফারজানা হকপিংকি সমান দুঃখী। বুধবার সকালে সৌম্য হৃদয় ভেঙে পড়েছিলেন এবং ফারজানা পিঙ্কও সেই রাতে হৃদয় ভেঙেছিলেন। দুজনেই তাদের দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন এবং দুজনই ছিলেন ওপেনার। তবে তাদের কেউই শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দিতে পারেনি।

পচেফস্ট্রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। ব্যাট হাতে কাজটা ঠিক রেখেছিলেন তারা। টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট। এরপর ধীরে ধীরে শুরু করেন দুই টাইগ্রেস খেলোয়াড় শামীমা সুলতানা ও ফারজানা খাকু পিংকি। পিঙ্কি ক্রিজে স্থির হলেও তার পা শক্ত হয়ে যায় এবং তার পারফরম্যান্স ক্লান্তির লক্ষণ দেখায়। না হলে বাংলাদেশের রাজধানীটা আরেকটু বড় হতো।

পিংকির ব্যাট থেকে ১৬৭ বলে ১০২ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত ছিলেন ফাহিমা খাতুন। তার ৪৬ রানের ইনিংস দর্শকদের কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি দিয়েছে। নির্ধারিত খেলা শেষে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করে। প্রোটিয়াদের হয়ে মারিজান কাপ ২টি ও মাসাবাতা একটি উইকেট নেন।

বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি মন্থর ছিল কিন্তু বিপরীতে লরা উলভার্ট এবং তাজমিন ব্রিটস আক্রমণাত্মক ছিলেন। দুই ওপেনারই খেলাকে বাংলাদেশের নাগালের বাইরে রাখেন। টানা দুই বলে ১০৬ রান কিছুটা স্বস্তি দেবে বাংলাদেশকে। ফাহিমা লরার দরজা নিল। পরের খেলায় প্রথম বলেই ফেরেন ব্রিটিশরা।

তখন পর্যন্ত বাংলাদেশ গেমস। সুনে লুস ও এনেকে বাচ তৃতীয় উইকেটে বাকি ১১৭ রান যোগ করে টাইগারদের বিপর্যস্ত করে তোলেন। লুস ছাড়া বাকি তিন ব্যাটসম্যান অর্ধশতক করেছেন। প্রোটিয়ারা তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা এনে ৮ উইকেটে জিতেছে।