বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে খুবই চিন্তিত কোচ ফাহিম
ক্রিস গেইল, ক্রিস লুইস, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল, ড্যারেন স্যামি এবং রভম্যান পাওয়েল যে কেউ যখন খুশি 'ইয়া বিগ বিগ সিক্স' মারতে চান তাকে হারাতে পারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক হিটও এসেছে ছয়ে। বিশ্বের অনেক বাদুড়ের সেই শারীরিক সক্ষমতা নেই।
সেদিক থেকে বাংলাদেশও অনেক পিছিয়ে। গায়ের জোরে মারার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সীমাবদ্ধতা অনেক। শুধু কি তাই? শুধু শরীরে শক্তি কম, ছক্কা হাঁকানোর সামর্থ্য কম বলেই কি বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভাল করতে পারে না? শুধু বিগ হিট নেয়ার পারফরমার কম বলেই কি ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে দিনকে দিন ব্যাটিংয়ে পিছিয়ে পড়ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা ?
কেউ কেউ এমনটাই ভেবে বসে আছেন। তাদের ধারনা, বিগ হিট নেয়ার ক্ষেত্রে শারীরিক শক্তি তুলনামূলক কম বলেই বুঝি বড় দলগুলোর সঙ্গে পেরে উঠছে না বাংলাদেশ।
ভক্ত ও সমর্থকদের সে ধারণাটা আরও প্রবল হয়েছে ওপেনার লিটন দাসের কথায়। তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বলে দিয়েছেন, আমরা চাইলেও ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের) মত ছক্কা মারতে পারি না।’
কিন্তু সেটাই কি মূল কারণ? লিটনদের পূর্বসুরি ও অগ্রজ সাকিব, মুশফিকদের হাতেখড়ি যার হাতে, সেই নাজমুল আবেদিন ফাহিম কিন্তু তা মনে করেন না। তার ধারনা, শারীরিক শক্তির চেয়ে ভুল ও অদুরদর্শি গেম প্ল্যান এবং চিন্তাভাবনাই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে এবং ব্যাটিং খারাপ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
আজ বৃহস্পতিবার জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের খারাপ খেলার কারণ খুঁজতে গিয়ে ফাহিম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভুল কৌশল অবলম্বনই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অবনমনের অন্যতম কারণ।
কোচ ফাহিমের অনুভব, বাংলাদেশ এমন এক কৌশল ও লক্ষ্য- পরিকল্পনায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যাটিং করছে, যা দিয়ে কোনোভাবেই এ ফরম্যাটে ভাল খেলা বা সফল হওয়া সম্ভব নয়।
এ নামী কোচের ব্যাখ্যা, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ফরম্যাটে দুইভাবে শুরু করা যায়। এক পাওয়ার প্লে’তে হাত খুলে খেলে শুরুতেই রানের চাকা সচল করে নেয়া। আরেকটা হলো হাতে উইকেট রেখে খেলে পরে রানের চাকা সচল করা। আমরা পরের ফর্মুলা অনুস্মরণ করছি। আমাদের শুরুর লক্ষ্য থাকছে, প্রথমদিকে ঝুঁকি নিয়ে না মেরে উইকেট হাতে রেখে খেলবো। পরে মারবো; কিন্তু আমি মনে করি সেটা মোটেই লাগসই ও কার্যকর কৌশল ও অ্যাপ্রোচ না।’
‘এভাবে টি-টোয়েন্টি খেলা যায় না। এই ধীরে সুস্থ্যে উইকেট রেখে একটু সময় নিয়ে তারপর মারবো আর পরে রান গতি বাড়াবো- এই মানসিকতায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হয় না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিরাপদ ক্রিকেট খেলে ভাল করা কঠিন। এখানে একটু ঝুঁকি নিয়ে খেলার বিকল্প নেই। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে’তে তেড়েফুঁড়ে ওভার দ্য টপ খেলে রান গতি বাড়াতে ঝুঁকি নিতেই হয়; কিন্তু আমাদের টপ অর্ডাররা সে পথে হাঁটছে না। এমনকি মিডল ও লেট অর্ডারদেরও দেখছি রয়ে-সয়ে ধীরে সুস্থ্যে খেলার চেষ্টা করছে। তা করলে হবে না। হচ্ছেও না। তাই আমার মনে হয় আমরা যে অ্যাপ্রোচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছি, সেটাই ভুল।’
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা জানাল ভারত
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ২১ ক্যারেট সোনার দাম
- মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ, কখন ও কিভাবে দেখবেন
- আগামীকাল গণপরিবহন চলবে কিনা, যা জানা গেল
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনার অডিও বার্তা
- সারাদেশে শীতের মাঝেই বৃষ্টির আভাস
- রাত পোহালেই শেখ হাসিনার মামলার রায়: সর্বশেষ যা জানা গেল
- পে স্কেল বাস্তবায়নে কঠোর আলটিমেটাম আসছে
- তিন বছরের সর্বনিম্ন চিনির দাম
- বজ্রসহ বৃষ্টি নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
- মেহজাবীনের মামলাকারী আমিরুল ইসলাম সম্পর্কে যা জানা গেল
