১৭ ধরনের সরকারি ছুটি: চাকরিজীবীরা যেভাবে ভোগ করবেন
নিজস্ব প্রতিবেদক:সরকারি ছুটি নিয়ে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে চাকরিজীবীদের মধ্যে আগ্রহ ও নানা প্রশ্ন থাকে—কত ধরনের ছুটি আছে, সবাই কি সমান ছুটি পান, বা ছুটি কীভাবে নির্ধারিত হয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের সরকারি ছুটির বিস্তারিত তথ্য।
ছুটির তালিকা অনুমোদন ও প্রকারভেদ
সাধারণত গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর সাধারণ ছুটির তালিকা প্রকাশ করে। এরপর নির্বাহী আদেশে কিছু অতিরিক্ত ছুটি যোগ করা হয় এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে কর্মীর আবেদন অনুযায়ী ঐচ্ছিক ছুটিও যুক্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের সরকারি ছুটির বিষয়টি মূলত সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এবং নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীরা মোট ১৭ ধরনের ছুটি ভোগ করার সুযোগ পান।
২০২৬ সালের ছুটির হিসাব
সম্প্রতি ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে আগামী বছর মোট ছুটি থাকবে ২৮ দিন। এর মধ্যে ৯ দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি পড়ায়, প্রকৃত কর্মদিবসে ছুটি হবে ১৯ দিন। (মূল গল্পে ১১ দিন শুক্র-শনিবার এবং ১৭ দিন মূল ছুটি বলা হয়েছিল, তবে সাম্প্রতিক তথ্যে ৯ দিন শুক্র-শনিবার এবং ১৯ দিন মূল ছুটি বলা হয়েছে।)
ঐতিহ্যগতভাবে ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চ, পহেলা মে, ১৬ই ডিসেম্বরের মতো দিনগুলো সাধারণ ছুটির আওতায় থাকে। এর সাথে ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডারে পাঁচই আগস্টকে 'সাধারণ ছুটি' হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার।
১৭ ধরনের ছুটির তালিকা
সরকারি চাকরিজীবীরা সাধারণ ছুটির বাইরেও বিধিমালা অনুযায়ী আরও ১৬ ধরনের ছুটি পান। এগুলো হলো:
* অর্জিত ছুটি* অসাধারণ ছুটি* অধ্যয়ন ছুটি* সংগনিরোধ ছুটি* প্রসূতি ছুটি* প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি* অবসর উত্তর ছুটি* নৈমিত্তিক ছুটি* শ্রান্তি বিনোদন ছুটি* অক্ষমতাজনিত বিশেষ ছুটি* বিশেষ অসুস্থতাজনিত ছুটি* অবকাশ বিভাগের ছুটি* বিভাগীয় ছুটি* চিকিৎসালয় ছুটি* বাধ্যতামূলক ছুটি* বিনা বেতনে ছুটি* সাধারণ ও সরকারি ছুটি (সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশের ছুটি ও ঐচ্ছিক ছুটি)
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পাশাপাশি স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রে ছুটির সংখ্যা ও ধরনে পার্থক্য থাকতে পারে।
সাধারণ, নির্বাহী ও ঐচ্ছিক ছুটি: পার্থক্য কী
ছুটির ক্ষেত্রে মূল পার্থক্যগুলো নিম্নরূপ:
| ছুটির ধরন | বৈশিষ্ট্য | প্রযোজ্যতা |
| সাধারণ ছুটি | ক্যালেন্ডারে লাল কালিতে চিহ্নিত থাকে। | সকল অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য। (অত্যাবশ্যকীয় সেবার ক্ষেত্রে নিজস্ব আইন থাকতে পারে)। |
| নির্বাহী আদেশে ছুটি | সরকারের নির্বাহী আদেশে দেওয়া হয়। | সাধারণত সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য সরাসরি প্রযোজ্য নয়। |
| ঐচ্ছিক ছুটি | মূলত ধর্মীয় পর্ব অনুযায়ী বছরে মোট ৩ দিন পর্যন্ত ভোগের বিধান আছে। | সরকারি চাকরিজীবীরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী এই ছুটি নিতে পারেন। |
সাধারণ ছুটির বাইরে বেসরকারি চাকরিজীবীরা সাধারণত তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী বাকি ছুটি পেয়ে থাকেন। সরকারি বিধিমালার অন্য কোনো ছুটি তাদের জন্য সরাসরি প্রযোজ্য হয় না।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- আজকের সোনার বাজারদর: ৮ নভেম্বর ২০২৫
- মহার্ঘ ভাতা: ১১-২০ গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব, সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা!
- নতুন পে-স্কেল জানুয়ারি থেকে কার্যকর, বাড়তি চাপ পড়বে যেসব খাতে
- নবম পে স্কেল কার্যকর হবে জানুয়ারিতে: অর্থ উপদেষ্টা
- নতুন পে স্কেলে যেসব আর্থিক সুবিধা বাড়তে পারে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৭ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে স্কেলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে সুপারিশ
- ১২ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে, ৫ বেসরকারি ব্যাংক 'নামেমাত্র টিকে আছে'
- পে স্কেল চূড়ান্ত! ২০২৬ এর শুরুতেই কার্যকর
- নবম পে স্কেল ২০২৬-এর শুরুতেই: বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- জানুয়ারি ২০২৬ থেকেই নতুন পে স্কেল কার্যকর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
